বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিস্তব্ধ লক্ষ্মীপুর

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ

গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি এবং নিস্তব্ধ লক্ষ্মীপুর

এক. কয়েক দিন আগে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে। একই সঙ্গে রায়পুরাতেও গিয়েছিলাম নানার বাড়িতে- যেখানে যাওয়া হয় না অনেক অনেকদিন। গোটা পরিবার নিয়ে পৈতৃক বাড়িতে ছুটে যাওয়ার আনন্দ সব সময়ই আলাদা। নাগরিক জীবনের কর্মব্যস্ততায় গ্রামমুখী হওয়াটাই এখন সবচেয়ে কঠিন ব্যাপার। বলা যায়, সময়ই হয়ে ওঠে না। দীর্ঘদিন পর নিজবাড়ি আর নানাবাড়ির দর্শন স্মৃতির পাতায় এক নতুন আনন্দই বটে। বারবার ভেবেছি- এভাবে মাঝে-মধ্যে চিরচেনা গ্রামে গেলে নিজের জন্যই ভালো। প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ যেমন হয় তেমনি গ্রামীণ জীবন আর সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে নাগরিক ভাবনাকেও ঢের মিলিয়ে দেখা যায়। বলতে দ্বিধা নেই উন্নয়নের ধারায় গ্রামীণ জীবনের অনেক কিছুই এখন বদলে গেছে এবং আরও বদলে যাচ্ছে। গ্রামীণ সংস্কৃতির অনেক কিছুতেই তাই বড় ধরনের পরিবর্তনও চোখে পড়ে। হয়তো সামনে আরও পরিবর্তনও অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, বিভক্তি-বিভাজন যে গ্রামীণ জীবনকে বিষিয়ে তুলছে তা বলাই বাহুল্য। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বুঝতে কষ্ট হয়নি একতরফা নির্বাচনের ফলাফল আর সুশাসনের অভাব কতটা ভয়াবহ। মামলা, হামলায় মানুষের জীবন কতটা বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত। শত শত মামলার ঝক্কি। সাধারণ মানুষের মাঝে তাই ক্রোধ, ক্ষোভ এবং বেদনার অন্ত নেই।

দুই. কেমন আছেন লক্ষ্মীপুরের সাধারণ মানুষ? আমি যেদিন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের রসুলপুরে পৈতৃক বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি তখনই বিষয়টি উপলব্ধিতে আনার চেষ্টা করি। আর তাই নিজেও ঠিক করি একটু অনুধাবন করব সাধারণ মানুষের কী অবস্থা। তাই বাড়ির কাছে চায়ের দোকানে চা পান করতে করতে সাধারণ মানুষের আলাপচারিতা লক্ষ্য করি। বুঝতে চেষ্টা করি মানুষের ভেতরের খবর। লক্ষ্মীপুর এ সময়ে বহুবিধ কারণেই আলোচিত এক রাজনৈতিক জেলা। এক আতঙ্কের জনপদও লক্ষ্মীপুর। বিশেষ বাহিনীর কোপানলে পতিত লক্ষ্মীপুর। তাই লক্ষ্মীপুরকে রক্তাক্ত লক্ষ্মীপুর বা প্রতিহিংসার পোড়া লক্ষ্মীপুর বললে ভুল হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কারণে অনেক নিরীহ, শান্ত স্থিরপ্রিয় প্রাণকে অকালেই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হয়েছে। তবে অপরাধ নয়, কেবল রাজনৈতিক পরিচয়ই যাদের মৃত্যুকে নিশ্চিত করেছে। প্রিয়জনকে হারানোর বেদনায় নীল হয়ে যাওয়া মানুষগুলো এবার আনন্দ নিয়ে ঈদ করতে পারেনি। ঈদের সময় স্বজন হারানো প্রতিটি পরিবারে ছিল বেদনা আর বিষাদের ছায়া। লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পা রেখে সেটা বুঝতে মোটেও কষ্ট হয়নি। নিজের শরীরে হাত রেখে টের পেয়েছি কী ঘটে গেছে লক্ষ্মীপুরে। প্রিয়জন হারানোর স্মৃতি মানুষ ভুলতে পারেনি।

আসলেই লক্ষ্মীপুরের সাধারণ মানুষ ভালো নেই। প্রতিহিংসার রাজনীতির কোপানলে পড়ে প্রায় প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ হামলা-মামলায় বিপর্যস্ত। বাড়িছাড়া হয়ে ফেরারি জীবন বেছে নিতে হয়েছে অনেককেই। অনেক তরুণ বা রাজনৈতিক কর্মী বাড়ি আসার সাহস পান না। মা-বাবা, সন্তান, আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। গাছকাটা থেকে শুরু করে হামলা, লুটপাট, সরকারি সম্পদ নষ্ট- এ জাতীয় বহুবিধ মামলা তাদের ঘাড়ে। অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ জামিনে আছেন, তবে মুক্তভাবে চলাফেরা করায় নিষেধাজ্ঞা আছে। প্রতিপক্ষ আর পুলিশি নির্যাতনে আহত অনেক পরিবারের সদস্য জমি জিরেত বেচে নিজেদের চিকিৎসা করাতে করাতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। বিগত ঈদ উৎসবে লক্ষ্মীপুরের গ্রামেগঞ্জে কোনো উচ্ছ্বাস ছিল না। বিপরীতে ছিল উৎকণ্ঠা, ভয় কখন আবার যেন কী হয়।

তিন. লক্ষ্মীপুরে এখন বিবিধ রাজনৈতিক ঝড় প্রবাহমান। সাধারণ মানুষের তাই শঙ্কার শেষ নেই। একটুতে একটু হলেই মানুষ নিজের নিরাপত্তা খুঁজতে থাকে। কোথায় কিছু হলে মানুষ শুধু এই চিন্তা করতেই থাকে- উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই বুঝি তাকেও নতুন কোনো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ভয়েই মানুষের দিন কাটে, রাত কাটে। নিরাপত্তা দেবে এমন কাউকে তারা কাছে পাচ্ছেন না। আর তাই বিদ্যুৎ পাওয়া না পাওয়াকে কেন্দ্র করে ঈদ-পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের মাঝে যে বিক্ষুব্ধতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে তা নিয়েও নাকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো মাথা ঘামাতে দেখা যায়নি। তারা মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি খোঁজখবরও রাখেনি। সে সময় গণমাধ্যমগুলো বলেছে, রায়পুরা আর রামগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে তা যদি স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিরা গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন তাহলে ঘটনা এরকম হতো না। বিষয়টির একটি সুষ্ঠু ফয়সালা হতো এবং সাধারণ মানুষকে এতটা বিড়ম্বনায়ও পড়তে হতো না। কিন্তু কোথায় জনপ্রতিনিধি? তারা নাকি আলাদিনের চেরাগের মতো। হেলিকপ্টারে আসেন হেলিকপ্টারে চলে যান। মানুষের সঙ্গে তাদের জানাশোনা নেই। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী তারা নন। তারা অনেকটাই সিনেমার সেই অতিথি অভিনেতার মতো। সাধারণ মানুষদের বলতে শুনেছি, তারা এখনো জনপ্রতিনিধিদের দেখার সুযোগই পাননি।

প্রসঙ্গত, উল্লেখ করছি- কথিত নির্বাচনের বদৌলতে আলোচিত লক্ষ্মীপুর জেলার ১ এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনে যে দুজন অতিথি এমপি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন তারা কেউই জনগণের কাতারের মানুষ নন। লক্ষ্মীপুর-১ তথা রামগঞ্জের সর্বশেষ এমপি হলেন এম এ আওয়াল। যিনি তরিকত ফেডারেশন নামের একটি রাজনৈতিক দলের নেতা। এই নেতা ঢাকাতেই থাকেন। কখনো সখনো উড়ে রামগঞ্জে গেলেও কারোর খোঁজখবর রাখেন না। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর-২ আসন তথা রায়পুরার এমপি হলেন মো. নোমান। তিনি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছেন। তিনিও ভীষণ অপরিচিত। লক্ষ্মীপুরের সাধারণ মানুষের সঙ্গে উলি্লখিত দুজনেরই কোনো যোগাযোগ নেই। আর তাই বিপদে-আপদে সাধারণ মানুষ জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের ফলাফল যে কতটা ভয়াবহ তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের সাধারণ মানুষ।

চার. লক্ষ্মীপুরের জনজীবনের যে চিত্র সরাসরি দেখার সৌভাগ্য হলো বলতে দ্বিধা নেই প্রায় সবখানেই কমবেশি এরকমই চিত্র। সারা দেশেই বিরোধী পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অকারণেই মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলায় জর্জরিত অনেকের ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে। তবে যে কোনো স্থানের তুলনায় লক্ষ্মীপুরের মানুষ এবং জনজীবনের দুর্দশা মনে হয় সবচেয়ে বেশি। লক্ষ্মীপুরসহ সারা দেশে এখন যে পরিস্থিতি চলমান এমন অবস্থার অবসান চায় সাধারণ জনগণ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি তাদের মতে, সারা দেশে যে অস্থির, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হলো- রাজনৈতিক সংলাপ আহ্বান এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। যার মধ্যে দিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় বসবে, তারাই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ পরিচালনা করবে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে ক্ষমতাসীন দল এককাট্টা। কখনো কখনো তারা চরম অসহনশীল কথাবার্তাও বলছে। বিএনপি এবং তাদের সমর্থিতরা আন্দোলন করতে পারছে না বলে কটাক্ষও করছেন। আন্দোলন প্রসঙ্গ এলেই সরকারের পক্ষ থেকে বিবিধ হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। অগণতান্ত্রিক কথাবার্তা বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র তো ভিন্ন। বিএনপি আন্দোলন করতে পারছে না, বা আন্দোলন করতে সক্ষম নয়- এর মধ্যে দিয়ে কিন্তু প্রমাণিত হয় না যে, বর্তমান সরকার জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। জনমত সম্পূর্ণরূপে তাদের পক্ষে। জনগণ তাদের ছাড়া কিছুই বুঝছে না। গ্রামে-গঞ্জে ঘুরেফিরে বুঝেছি না তেমনটি নয়। সরকারের শাসনব্যবস্থা নিয়ে পাবলিক পার্সেপশন একেবারেই ভিন্ন। এমতাবস্থায় সবারই কাম্য সবার অংশগ্রহণে একটি গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু নির্বাচন। সরকার কথায় কথায় সুশাসনের কথা বলছে। সরকার পক্ষের এ কথাকে শ্রদ্ধা করি। আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশে জবাবদিহিতা, সুশাসনটাই সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু জোর করে বা রাজনৈতিক কৌশলে ক্ষমতায় থাকা সুশাসনের পরিচয় বহন করে না।

পাঁচ. এদিকে গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ছে- এমন খবরে নগরবাসীও নড়েচড়ে বসতে শুরু করেছে। আগামী বছরের শুরুতেই গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে, ভর্তুকি কমাতেই সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী শুধু রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দামই ১০০ শতাংশের বেশি বাড়ছে। অর্থাৎ একচুলা গ্যাসের দাম ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করা হবে। এর আগেও কয়েক দফা গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল গত বছরের ১৩ মার্চ। গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে জনজীবনে খরচপাতি এমনিতেই বেড়ে যায়। বাড়ি ভাড়া থেকে গণপরিবহন প্রতি পদে পড়ে বেশি পয়সা গুনতে হয় জনসাধারণকে। গ্যাস এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির খবর তাই নতুন এক আতঙ্কের প্রতিধ্বনি জানাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির আগে সরকারের পক্ষ থেকে গণশুনানি করা হবে বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু কথিত গণশুনানির অভিজ্ঞতা খুব ভালো নয়। আগেও আমরা দেখেছি এ ধরনের উদ্যোগে সুফলভোগী, বিষয়বিশেষজ্ঞরা কেউই অংশগ্রহণ করেন না। ফলে গণশুনানি নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। দেশের এনার্জি খাতে এক ধরনের নীরব নৈরাজ্য বিরাজ করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে উচ্চমূল্য দিয়ে তরল গ্যাস এবং ফার্নেস তেল দেশের বাইরে থেকে আমদানি করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে তার সুফল মোটেও পাচ্ছে না দেশের জনগণ। এখন পর্যন্ত আবার রিফাইনারি ক্যাপাসিটিও সেভাবে বিল্ডআপ করা হয়নি। ফলে আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে বৈ কমছে না। সব কিছু দেখেশুনে মনে হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে সরকার নিজেকে বিত্তবান বলে প্রমাণ করছে। এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়শই বলা হয়, এই সরকারের আমলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। সরকারের এই দাবিটা এখন নিরর্থক এ কারণে যে, ১ নভেম্বর দেশে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনা যেভাবে বা যে প্রক্রিয়ায় ঘটুক সরকারকে সেটা সামাল দিতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। এই দীর্ঘ সময় কার্যত দেশের সব কিছু বন্ধ ছিল। এক ধরনের অচল অবস্থা তৈরি হয়েছিল সর্বত্র। রাত বাড়ার পর বড় বড় নগরীতে এক ধরনের আতঙ্কও তৈরি হয়েছিল।

লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকা- আসলে কোথাও মানুষ এখন ভালো এবং রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিকভাবে নিরাপদ নেই। রাজনৈতিক হয়রানির কথা বাদই দিলাম, সাধারণ মানুষের জীবনেও এখন নানাবিধ ঘাত-প্রতিঘাত লক্ষণীয়। কিন্তু সরকার খানিকটা নির্বিকারভাবে এগিয়ে চলছে। বলতে দ্বিধা নেই একদলীয় শাসনের কারণেই এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুতরাং সময় এসেছে সরকারকে অবশ্যই বুঝতে হবে দেশের মানুষের মনের কথা এবং মানুষ কী চায়। আমরা দেখছি সরকারের অনেক দায়িত্বশীল মন্ত্রী বলছেন, এই সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সরকার ক্ষমতা ছাড়বে না, নতুন কোনো নির্বাচন হবে না। রাজনীতিতে এই শক্তিমত্তা দেখানো নিরর্থক ছাড়া আর কিছুই নয়। রাজনীতিক নয়, জনগণই বলে দেবে আগামীতে দেশ কারা চালাবে, কীভাবে চলবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলে, জনগণই তো ক্ষমতার সব উৎস। লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে যা হচ্ছে, যা চলছে তার পরিবর্তনের প্রতিধ্বনিই সর্বত্র শোনা যাচ্ছে। জনগণের জনমতই এই নীরব প্রতিধ্বনির জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।

লেখক : চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

[email protected]

 

 

 

সর্বশেষ খবর