বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

প্রশংসনীয় নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারও মুখের দিকে না তাকিয়ে শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাসে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ নির্দেশ দেন। শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাস এবং এর সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা সরকারের ভাবমূর্তির জন্য যখন বিড়ম্বনা ডেকে আনছে তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা যেতে পারে। আমরা জানি সভ্য দুনিয়ার নিয়ম হলো আইন তার নিজস্ব পথে চলবে। অপরাধী যেই হোক আইন তাকে নিজের আওতায় আনার চেষ্টা করবে। আমাদের দেশে এ অনুশাসন অনুসরণের ঘাটতি থাকায় সরকার সমর্থকদের হাজারও অন্যায়কে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায়। এর পরিণতিতে অপরাধীরা তাদের অপকর্ম চালাতে সরকারি দল কিংবা অঙ্গসংগঠনের ছত্রছায়া গ্রহণ করে। তাদের অপকর্মের সঙ্গে সরকার কিংবা সরকারি দলের আদর্শিক যোগসূত্র না থাকলেও ভাবমূর্তির সংকট এড়ানো কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা আশা করব শুধু সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় নয় দেশের সব শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাস দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের করণীয় কর্তব্য অর্থাৎ সন্ত্রাসী যেই হোক তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে। যারা ক্ষমতাসীন দলের নামে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিতে লিপ্ত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ যাতে সরকারি দল কিংবা এর অঙ্গসংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কোনো ধরনের অপকর্ম চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে। আমরা এ কলামে বার বার উল্লেখ করেছি দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সাফল্য বহু ক্ষেত্রেই ঈর্ষণীয়। সে ফসলকে তারা ঘরে নিতে পারছে না ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ লীগ নামধারী সংগঠনগুলোর ছত্রছায়ায় অবস্থান নেওয়া মতলববাজদের কারণে। শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাস সামাল দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ জন্য জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। সন্ত্রাসের সঙ্গে সরকারি দলের অঙ্গসংগঠনের কর্মীরা জড়িত এ অজুহাত যাতে আইন প্রয়োগে বাধা না হয়ে দাঁড়ায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার।

সর্বশেষ খবর