শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

প্রশ্নপত্র ফাঁস

প্রশ্নপত্র ফাঁসের কলঙ্ক এ বছরও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাকে কলঙ্কিত করল। এ পর্যন্ত যেসব পরীক্ষা হয়েছে এর প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগেই ফাঁস হওয়ার অভিযোগ করেছেন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার অভিভাবকরা। চিহ্নিত কিছু কোচিং সেন্টার এবং ফেসবুকের কয়েকটি গ্রুপ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বলে অভিভাবকদের ধারণা। গত বছরও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কয়েকটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি অন্তত দুটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার প্রমাণও পেয়েছিল। আশা করা হয়েছিল প্রশ্নপত্র ফাঁসের পুনরাবৃত্তি রোধে দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ দূরের কথা এ ক্ষেত্রে রেকর্ড স্থাপনেও যেন উঠেপড়ে লেগেছে ফাঁসকারীরা। মঙ্গলবার 'বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়' পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে। বাড্ডার একটি কোচিং সেন্টার থেকে এ প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। এর আগে রবি ও সোমবার যথাক্রমে অনুষ্ঠিত ইংরেজি এবং বাংলা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসেরও অভিযোগ ওঠে। ফাঁসের অভিযোগ ব্যাপকভাবে উচ্চারিত হয়েছে ঢাকা, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, টাঙ্গাইলসহ কয়েকটি জেলায়। সোমবার টাঙ্গাইলের বাসাইলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিলির উদ্দেশে হাতে লেখা প্রশ্নপত্র ফটোকপি করার দায়ে এক কিন্ডারগার্টেনের মালিক ও এক ফটোকপি ব্যবসায়ীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। বলেছেন ৬৪ জেলা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ তার কাছে অভিযোগ করেনি। তবে সাংবাদিক ও অন্যান্য মাধ্যমের কাছ থেকে তিনি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পেয়েছেন। মন্ত্রীর ধারণা পরীক্ষা যাতে ভালোভাবে না হয় সে জন্য এমন ষড়যন্ত্র চলছে। মন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমরা শুধু বলব, প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা রক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারেরই দায়িত্ব। এ ব্যর্থতার দায় তাদের ওপরই বর্তায়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অপনায়কদের আইনের আওতায় এনে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা কিছুটা হলেও সামাল দেবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

সর্বশেষ খবর