বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

নরপশুদের ধরুন

গ্রাম্য শালিস যে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গ্রামের মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। সাধারণত গ্রামের মুরব্বিদের নিয়ে গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করা হয়। তারা তাদের বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে বিরোধীয় বিষয়ের মীমাংসা টানার চেষ্টা করেন। তবে কোথাও কোথাও গ্রাম্য শালিসের নামে যা ঘটে তা আইয়ামে জাহেলিয়াকেও হার মানায়। জংলি সমাজেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে কিনা সে সন্দেহও থেকে যায়। শনিবার শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের ওকিলউদ্দিন মুন্সিকান্দি গ্রামের এক গ্রাম্য শালিসের বিষয়টি এখন অনেকের জানা। এ শালিসের রায়ে এক গৃহবধূকে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে স্বামীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শালিসদার নামের মানুষবেশী পিশাচেরা। শালিসদারদের মধ্যে একজন আবার ইউপি মেম্বার নামধারী জনপ্রতিনিধি। আমরা জানি না শরীয়তপুরের ওই গ্রামটি সভ্য দুনিয়ার অংশ কিনা। গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করা হয় প্রকাশ্যে। কখনো কখনো শত শত লোকজনের সামনে। শরীয়তপুরের ওই শালিসে শত শত লোক না হোক পাড়ার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ যে উপস্থিত ছিল তাতে সন্দেহ নেই। শালিসদারবেশী কয়েকজন নরপিশাচ এক গৃহবধূর গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তারা কেন নিশ্চুপ ছিলেন তা একটি প্রশ্নের বিষয়। তবে কি শালিসে উপস্থিত গ্রাম্য মাতব্বররা এমনই দাপটধারী যাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার কথা কল্পনা করাও কঠিন। আমরা আশা করব, সরকার শরীয়তপুরের তথাকথিত শালিসের বিষয়টি আমলে নেবে এবং এতে উপস্থিত মাতব্বরদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেবে। শালিসে উপস্থিত ইউপি মেম্বারের পদ হরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট গৃহবধূর নিরাপত্তা বিধানেও সরকার উদ্যোগী হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।

 

 

 

 

সর্বশেষ খবর