রবিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

গণতন্ত্র বনাম মানুষ মারার রাজনীতি

বিভুরঞ্জন সরকার

গণতন্ত্র বনাম মানুষ মারার রাজনীতি

৫ জানুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে ঢাকায় সমাবেশ করতে না দেওয়ায় ৬ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ডেকেছেন বেগম খালেদা জিয়া। শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালনের ডাক দিলেও আসলে অবরোধে ব্যাপক সহিংসতা হচ্ছে। বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দেওয়া হচ্ছে, রেলের ফিশপ্লেট তুলে নেওয়ার মতো নাশকতাও চলছে। পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ পথচারী কিংবা যাত্রীদের। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে সহিংসতায় কমপক্ষে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা আসার পথে একটি নৈশকোচে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন নারী-শিশুসহ পাঁচজন। অগ্নিদগ্ধ আরও ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রতিদিনই মানুষ মরছে। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কান্নার রোল। কৃষিজাত পণ্য বাজারজাত করতে না পেরে কৃষকের মাথায় হাত। দেশজুড়ে অনিশ্চয়তা, এক ধরনের স্থবিরতা। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে সাড়ে চারশ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে অথবা ভাঙচুর করা হয়েছে। অবরোধের কারণে কেবল পরিবহন খাতেই প্রতিদিন শত কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। পোশাক রপ্তানি খাতে ক্ষতির পরিমাণ কয়েকশ কোটি টাকা। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে প্রতিদিন এভাবে দেশজুড়ে প্রাণহানি ও সম্পদ বিনষ্টের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

বলা হচ্ছে, সরকার বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ায় বা তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার কারণেই বিএনপিকে নিরুপায় হয়ে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে। প্রশ্ন হলো, সত্যি কি বিএনপি এবং সরকারবিরোধী অন্য রাজনৈতিক শক্তিগুলো তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে না? প্রতিদিনই বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদে এবং টকশোতে সরকারবিরোধী ব্যক্তিদের বক্তব্য অবাধেই প্রচার হচ্ছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিতরে এবং বাইরে নানা ধরনের সভা কিংবা মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা কথা বলছেন এবং তা গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। কাকে, কোনো কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না? কথা বলার জন্য কেউ কি জেল-জরিমানার সম্মুখীন হয়েছেন? বেগম জিয়াও সম্প্রতি দেশের কমপক্ষে ১১টি জায়গায় বড় বড় জনসভা করেছেন এবং বক্তৃতা দিয়েছেন। বক্তৃতায় তিনি সরকারের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন কিন্তু তাতে কেউ বাধা দেয়নি। তবে ৫ জানুয়ারি ঢাকায় বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার আশঙ্কায় বিএনপিকে ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি দেয়নি সরকার। কাজটি ঠিক হয়নি। কারণ বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দিয়ে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা ঠেকানো যায়নি। আবার জনসভা ডেকে বেগম জিয়া বক্তৃতা দিতে না পারলেও ৫ জানুয়ারি গুলশান কার্যালয় থেকে পুলিশি বাধার মুখে বের হতে না পেরে গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তা সব বেসরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হয়েছে। সংবাদপত্রেও তা প্রকাশিত হয়েছে। বেগম জিয়া জনসভা করে সরকারের বিরুদ্ধে যা যা বলতেন গুলশান কার্যালয়ে দাঁড়িয়েও তার থেকে কম কিছু বলেননি এবং তা দেশবাসীর কাছে পৌঁছতেও কোনো বিঘ্ন ঘটেনি। তাহলে তিনি জনসভা করতে না দেওয়ায় এত ক্ষুব্ধ কেন হলেন? শোনা গিয়েছিল, সমাবেশ করতে না দিলে প্রতিবাদে দুই-একদিনের হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এ সংক্রান্ত কিছু আগাম খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু ৫ জানুয়ারি গুলশান কার্যালয় থেকে বের হতে না পেরে বেগম জিয়া যে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন এটা তার দলের শীর্ষ নেতাদের কাছেও অপ্রত্যাশিত ছিল বলে সংবাদপত্রে খবর বেরিয়েছে। বেগম জিয়ার এই কর্মসূচির জন্য তার দল এবং জোট যেমন প্রস্তুত ছিল না, তেমনি দেশের মানুষও বর্তমান পর্যায়ে এ ধরনের কর্মসূচি আশা করেনি।

দুই

মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার থোরাই কেয়ার করেন আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা। মানুষ কী ভাবছে, কোনো একটি কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে সে সম্পর্কে জানা-বোঝার চেষ্টা না করেই কর্মসূচি চাপিয়ে দেওয়া হয়। বেগম জিয়া তার একক সিদ্ধান্তেই অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই মনে হয়। তিনি গুলশান কার্যালয় থেকে বের হচ্ছেন না। কবে এবং কী শর্তে বের হবেন তাও কেউ বলতে পারেন না। বেগম জিয়ার রাজনৈতিক তৎপরতা এখন ওই কার্যালয়কে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। ওখানে বসেই তিনি দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিএনপি সমর্থক বলে পরিচিত পেশাজীবী নেতৃত্বসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু নেতা-কর্মী প্রতিদিনই তার সঙ্গে দেখা করছেন এবং তারপর তারা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন। বলা হচ্ছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাই তাদের বলছেন বেগম জিয়া।

বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমের কাছে বিএনপির নেতারা যেসব কথা বলছেন তা নিয়েও এক ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। ১১ জানুয়ারি বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াসহ বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসে রফিকুল ইসলাম মিয়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনের জন্য সংলাপের উদ্যোগ না নেওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পরদিন বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির সহসভাপতি মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পেলে টানা অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। পরদিন দলের যুগ্ম-মহাসচিব ও দফতর সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। একটি পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, মেজর হাফিজের (অব.) বক্তব্যে বেগম জিয়া চটেছেন। তার মনোভাব কঠিন। লাগাতার আন্দোলন নিয়ে তার মতের বিরুদ্ধে কোনো নেতা কথা বললে তাকে নিষ্ক্রিয় করা হবে বলেও নাকি বেগম জিয়া জানিয়েছেন। মেজর হাফিজ যা বলেছেন তা তার ব্যক্তিগত, এতে 'ম্যাডামের' মতামত প্রতিফলিত হয়নি।

তিন

৫ জানুয়ারি বেগম জিয়াকে গুলশান কার্যালয় থেকে বের হতে না দিয়ে পুলিশ ভালো কাজ করেনি। তার বাড়ির আশপাশে ইট-বালুর ট্রাক এনে ব্যারিকেড দেওয়াটাও ছিল খুবই অশোভন। বেগম জিয়ার চলাচলে বাধা দেওয়ায় তার প্রতি মানুষের এক ধরনের সহানুভূতি দেখা গেছে। উচিত ছিল তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়ে তিনি যেখানে যেতে চান সেখানে যেতে দেওয়া। বেগম জিয়াকে গুলশান থেকে যদি বের হতে দেওয়া হতো তাহলে তিনি কোথায় যেতেন? নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ওই কার্যালয়ও আগের রাতেই পুলিশ তালাবদ্ধ করে দিয়েছিল। সারা দিন ওই কার্যালয়ের আশপাশে কাউকেই ভিড়তে দেওয়া হয়নি। সেখানে কোনো জমায়েতও হয়নি। বেগম জিয়া কি ভেবেছিলেন তিনি নয়াপল্টনে গেলেই লাখ লাখ মানুষ বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো সেখানে গিয়ে আছড়ে পড়ত? ৫ জানুয়ারি পুলিশ বাধা দিয়েছিল গুলশানে এবং নয়াপল্টনে। এই দুই জায়গায় যে বাধা দেওয়া হবে সেটাও আগে থেকেই জানা ছিল। তাহলে রাজধানীতে সমাবেশ করার জন্য বিএনপির বিকল্প কোনো প্রস্তুতি ছিল না কেন? মানুষ যদি বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য এবং আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর জন্য এতটাই উদগ্রীব হয়ে থাকে তাহলে ৫ জানুয়ারি ঢাকার অলিগলি থেকে তো খণ্ড খণ্ড মিছিল বের হয়ে ঢাকা শহর সয়লাব হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার কোনো লক্ষণ তো দেখা যায়নি। বেগম জিয়াকে গুলশান থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না, এ খবর প্রায় সারা দিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা শহরের কোনো জায়গা থেকেই কোনো মিছিল বের হয়নি। কোথায় গেলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা? কোথায়ইবা ছিলেন তাদের অগণিত সমর্থক-শুভ্যানুধায়ীর দল? বলা হতে পারে, সরকারের বিভিন্ন বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের তো রাস্তায় নামতে বা দাঁড়াতেই দেয় না। তাহলে কী করবে তারা?

এই প্রশ্নের উত্তরে বলার কথা এটাই যে, সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর কথা যারা বলবেন তাদের তো সরকার পক্ষ থেকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করার কথা নয়। আন্দোলনের নামে হুঙ্কার-হুমকি দেওয়ার সময় এ বিষয়টি নেতৃত্ব কেন বিবেচনায় নেন না? কোনো দেশে কোনো গণআন্দোলন কি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়ে থাকে? আমাদের দেশেও অতীতে যেসব গণআন্দোলন হয়েছে তার সবই সরকারের দমন-পীড়ন বা চরম বৈরিতা মোকাবিলা করেই সফল হয়েছে। তাছাড়া দেশের মানুষের এটা বুঝতে বাকি নেই যে, বিএনপির বর্তমান আন্দোলনটাও যতটা না গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কিংবা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তার চেয়ে ঢের বেশি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। তাদের দরদ ক্ষমতার জন্য, গণতন্ত্রের জন্য নয়। যদি গণতন্ত্রই তাদের লক্ষ্য হয়ে থাকে তাহলে সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার গোঁয়ার্তুমি তারা করতেন না। কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের অন্য কোনো পথ নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার এটা বলেছেন যে, 'জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সরকার আরও কঠোর হবে।' প্রশ্ন হলো, আর কত জানমালের ক্ষতি হলে সরকার আরও কঠোর হবে? ১২ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'সহ্যের একটা সীমা আছে।' এখানেও প্রশ্ন, আর কি হলে সহ্যের সীমা অতিক্রম করবে? কথায় আর চিঁড়ে ভিজছে না। মানুষকে বুলি দিয়ে আশ্বস্ত করা যাবে না। মানুষ চোখে যা দেখছে আর কানে যা শুনছে তার মধ্যে বিরোধ হলে চলবে না। দেশে বর্তমানে যে অবস্থা বিরাজ করছে তা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গত একটি বছর যেরকম শান্তি ও স্বস্তির মধ্যে দেশের মানুষ সময় কাটিয়েছে সেই অবস্থায়ই তারা থাকতে চায়। কিন্তু কীভাবে সেটা সম্ভব হবে? প্রধানমন্ত্রী বিএনপির প্রতি আগুন নিয়ে খেলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'অন্যথায় নিজেদের আগুনে পুড়ে তাদেরই মরতে হবে।' অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, 'যে অবস্থা তৈরি হয়েছে এর শেষ হচ্ছে এক পক্ষকে হারতেই হবে। খালেদা জিয়াই সেই পক্ষ। গণতন্ত্রের গেটপাস তিনি পাবেন না। একাত্তরে ও নব্বইয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তি হেরেছে, এবারও তাই হবে।'

কি হবে সময়ই তা বলে দেবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মেনে রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নির্ধারিত হয় না। রাজনীতির ভবিষ্যৎ গণনা করতে হয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান রাজনৈতিক শক্তির অবস্থান ও মেরুকরণ, সাধারণ মানুষের মনোভাব ও বিভিন্ন ঘটনায় মনস্তাত্তি্বক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং দেশের বাইরে শত্রু-মিত্রের ভূমিকা ইত্যাদি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করেই। কোনো জায়গা থেকেই এমন কোনো ইঙ্গিত নেই যে, অতি দ্রুত বর্তমান সরকারের পতন হবে এবং বিএনপি জোট ক্ষমতাসীন হবে। কোন হিসাব থেকে বিএনপি এখন সরকার পতনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে নেমেছে তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে স্পষ্ট নয়। কোনো হিসাবেই এই আন্দোলনে এখনই তাদের জয়লাভের সম্ভাবনা অতি আশাবাদীরা সম্ভবত দেখছেন না। জামায়াতের শক্তিতে নির্ভর করে, সহিংসতার মাধ্যমে মানুষ মেরে ভয়-ভীতি ছড়িয়ে বিএনপি যদি ভেবে থাকে পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে গেছে, তাহলে তারা বড় ভুলের মধ্যেই বাস করছে।

লেখক : সাংবাদিক, কলাম লেখক।

[email protected]

 

 

সর্বশেষ খবর