রবিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

সহিংসতা ও দেখা মাত্র গুলি সমাধান নয়

কাজী সিরাজ

সহিংসতা ও দেখা মাত্র গুলি সমাধান নয়

বাংলাদেশে উদ্ভূত রাজনৈতিক সংকট একদিকে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে, অপরদিকে জাতীয় অর্থনীতি ও অপরাপর সব রাষ্ট্রীয় অর্জনকে প্রায় বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। আদর্শহীন 'ক্ষমতার' রাজনৈতিক লড়াই গণতন্ত্র ও সুশাসনের গণআকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করছে। ক্ষমতাসীন লীগ সরকার, সরকারি দল ও তাদের বেনিফিশিয়ারি সহযোগীরা বলছেন আপাতত গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নই বেশি জরুরি। অথচ গণতন্ত্রের শাশ্বত চাহিদা ও অপরিহার্যতাকে অগ্রাহ্য করে কোনো উন্নয়নই যে টেকসই ও জনকল্যাণধর্মী হয় না এবং তা শাসক চক্রের ক্ষমতাঘনিষ্ঠ সুবিধাবাদী, দুর্নীতিবাজরাই ভোগ করে তা আজ শুধু বিএনপি বা তাদের সহযোগী অন্যান্য বিরোধী দলেরই কথা নয়, এই কথা দেশ-বিদেশের সব চিন্তাশীল, আদর্শবাদী ব্যক্তি, সংগঠন ও রাষ্ট্রেরও। শাসকচক্র এবং তাদের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই বলছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যা ঘটে চলেছে তা অব্যাহত থাকলে সম্ভাবনাময় দেশটির সামনে এগিয়ে যাওয়ার সব পথই রুদ্ধ হয়ে যাবে। সময় থাকতে হিংসা আর হানাহানির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। অবরোধে ও হরতালে ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ, হত্যা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার সব ঘটনার দায় সরকার প্রধান, সরকার ও সরকারি দল বিএনপি-জামায়াতের ওপর চাপিয়ে দিলেও বিএনপি চেয়ারপারসন তা অস্বীকার করছেন। গত ১৯ জানুয়ারি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার দল ও জোটের কোনো সম্পর্ক নেই। প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রতিপক্ষকে হেয় ও 'ডিফেইম' করার জন্য সরকারই তার লোকজন দিয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং জনগণের সহানুভূতি আদায় করতে চাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ভাষণদানকালে তিনি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সব সহিংসতার জন্য দায়ী করে বলেছেন, হুকুমের আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। লক্ষণ ভালো নয়। দোষারোপের এই রাজনীতির পরিণাম ভয়াবহ হবে বলে মন্তব্য করে শান্তি, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও উন্নয়নপ্রিয় মানুষরা বলছেন, এভাবে আর চলতে পারে না। এর অবসান হওয়া আবশ্যক। দেশের প্রবীণ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গত ১৭ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত এক লেখায় স্পষ্ট করে বলেছেন, 'সরকার বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে আলোচনা-সমঝোতার চেষ্টা করলে সেটাই হতো সবার জন্য শুভ ও কল্যাণকর। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।' 'শুধু একজন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনই নন, দেশের সুশীল সমাজ- শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠন সবাই বলছেন বন্ধ হোক ক্ষমতার কাঙালদের এই লড়াই- হানাহানি; নিরীহ মানুষের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে মসনদে ওঠার এই অসহনীয় তাণ্ডব। সরকার পক্ষ সহিংসতার সব দায় বিএনপি-জামায়াত জোটের ওপর চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাচ্ছে, কিন্তু জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিজেদের করণীয় বিষয়টা আড়ালে রাখতে চাচ্ছে। মনে হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশটা এই যে, অবরোধের সুযোগে অগি্নসংযোগ, ভাঙচুর, আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় মানুষ বিএনপির ওপর ক্ষিপ্ত হোক, তাদের বিপুল জনসমর্থনে ধস নামুক। অবরোধ-হরতালে সহিংসতা-নাশকতাকেই সরকার বর্তমানে প্রধান জাতীয় সমস্যা বা জাতীয় সংকট হিসেবে দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে এবং দেশে-বিদেশে বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল পক্ষসমূহকে দলটির প্রতি বীতশ্রদ্ধ করার কৌশল অবলম্বন করছে বলেও ধারণা করা যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এমন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে সরকার বর্তমান সংকট সৃষ্টির পেছনে মূল বিষয়টি থেকে সবার দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে রাখতে চাইছে। এই মহলের মতে, মূল সমস্যা হচ্ছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রশ্নবিদ্ধ ও সর্বত্র কঠোরভাবে সমালোচিত দশম সংসদ নির্বাচন। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠিত হবে মর্মে সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে যে নির্দেশ দেওয়া আছে, ক্ষমতাসীন লীগ সরকার তা লঙ্ঘন ও অগ্রাহ্য করেছে। ৬৫(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, 'একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের (৩) দফার কার্যকরতাকালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে (সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য) লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন।'

কিন্তু সরকার সংবিধানের এই শর্ত আমলে নেয়নি। শুধু তাই নয়, নবম সংসদ বহাল রেখেই দশম সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই। নামকাওয়াস্তে যে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হয়েছিল তাতে লীগ নেতৃত্বাধীন এরশাদের জাতীয় পার্টি ও ইনু জাসদ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রতিনিধি ছিল না। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে লীগ সরকার আগেই তার জয় নিশ্চিত করার ব্যবস্থাটি সম্পন্ন করে নবম সংসদে দানবীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে। অথচ ব্যবস্থাটি সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদে সনি্নবেশিত হয়েছিল সর্বদলীয় মতামতের ভিত্তিতে। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধানটি সনি্নবেশিত হয়েছিল সংবিধানে। বিএনপিসহ সরকারের বিরুদ্ধবাদী অন্য সবাই যা বলছেন, দেশের বিশিষ্টজনদের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি অংশও একই মত দিচ্ছেন। তারা মনে করেন, লীগ সরকার ক্রমাগত জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। দশম সংসদেও বিজয় নিশ্চিত করে তাদের ঘোষিত 'ভিশন-২০২১'-এর লক্ষ্যপানে এগিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই সরকারি দল একরোখা সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। দশম সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে লীগ সরকারের সঙ্গে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বর্তমান ২০-দলীয় জোট ও নির্বাচন বর্জনকারী অন্যান্য দলের বিরোধের সূচনা এখান থেকেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, 'সমঝোতায় আসলে দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু নির্বাচনের পর তার ও তার দলের নেতাদের কথার সুর পাল্টে গেছে।' এ প্রসঙ্গে দেশের খ্যাতিমান একজন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম গত ২১ জানুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত এক লেখায় মন্তব্য করেছেন, '২০১৯ সাল পর্যন্ত মহাজোট সরকার নাকি ক্ষমতায় থাকবে। এখন এক বছর পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যখন আলোচনা ২০১৯ সালের নির্বাচনের এত আগেভাগে শুরু করার কোনো যুক্তি নেই বলে ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষ থেকে অনড় অবস্থান প্রকাশ করা হচ্ছে, তখন খালেদা জিয়ার ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে তাকে অযৌক্তিক বলা যাবে কি? খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে পুরো পাঁচ বছর নির্বিঘ্নে ক্ষমতায় থাকতে দেবেন, এটা আশা করা যায় না।' বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টির কারণটা আরও একটু খোলাসা করে দিয়েছেন অধ্যাপক মইনুল। সমস্যাটা চোখে আঙ্গুল দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথও বাতলে দিয়েছেন অর্থনীতির এই রাজনীতি-সচেতন প্রবীণ শিক্ষক। তিনি তার লেখার উপসংহার টেনেছেন এভাবে- 'দেশ ক্রমেই অচল হয়ে পড়ছে। বর্তমানে দুই নেত্রীর জেদাজেদির প্রতিযোগিতায় ভাটার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রুটিনমাফিক দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রলবোমার শিকার হয়ে মানুষ অঙ্গারে পরিণত হচ্ছে। অর্থনীতি আর বেশি দিন এই ধকল সামলাতে পারবে না। দেশে-বিদেশে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হবে সংলাপের জন্য। শেখ হাসিনার ওপরই চাপটা বেশি পড়বে বোধগম্য কারণে। তার পাল্টা চাল দেওয়ার ক্ষেত্র ক্রমেই সংকুচিত হতে থাকবে। এহেন একটি সম্ভাব্য প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে তার উচিত হবে অনতিবিলম্বে বিএনপির সভা-সমাবেশের ওপর আরোপিত সব বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা। তাহলে তিনি আদতে কী করতে চাইছেন তা খোলাসা হয়ে যাবে।' তার বক্তব্য একেবারেই পরিষ্কার- প্রধানমন্ত্রীকে কী করতে হবে।

সংকটের মূল জায়গাটি নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং তা নিরসনের উপায় নিয়ে বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রসমূহও সোচ্চার। সম্প্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রবিষয়ক প্রতিবেদনে ব্রিটেন ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে তাদের অসন্তোষের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। 'বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ।' এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংলাপে বসে সব রাজনৈতিক দলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নতুন নির্বাচন বিষয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র মেরি হার্ফ স্পষ্ট করেই বলেছেন এ কথা। রিয়াজ রহমানের ওপর হামলার পর এক বিবৃতিতে মেরি হার্ফ বলেছেন, এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্র স্তম্ভিত ও মর্মাহত। তিনি সব পক্ষকে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়ে স্বাধীনভাবে জনগণের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বর্তমান সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাজ্য সব পক্ষকে সংযত থাকা, পরিণীতিবোধের চর্চা করা, আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং সহিংসতা ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিঘ্ন সৃষ্টির পুনরাবৃত্তি থেকে নিষ্কৃতি পেতে সংলাপে বসার আহ্বান জানান।

দেশে-বিদেশে বহু কণ্ঠে একই সুর। সবারই এক কথা, সংলাপেই খুঁজতে হবে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ। বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকেই সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। বার বার তারা এ প্রস্তাব দিয়ে চলেছে। অপরদিকে সরকার সেই প্রস্তাবকে পাত্তা না দিয়ে অবিরাম বলে চলেছে বিএনপির কিছু করার ক্ষমতা নেই। শাসক লীগ যাই বলুক আর ভাবুক, দেশ-বিদেশের মানুষ জানে বিএনপি একটি বড় এবং বিপুলভাবে গণসমর্থিত একটি দল। বেগম খালেদা জিয়া যেখানে শো-ডাউনের সুযোগ পাচ্ছেন, সেখানেই মানুষের ঢল নামছে। সরকার কৌশলগত কারণেই হয়তো ঢাকা এবং আশপাশে বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। পথেও নামতে দিচ্ছে না। এতে এটা বোঝায় না যে তাদের জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন প্রমাণের আরেকটি বৈধ ও সাংবিধানিক পথ তো একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন তেমন নির্বাচন হয়নি সে কথা বলেছি শুরুতেই। বিএনপি এবং তার মিত্ররা এখন লড়ছে তেমন একটি নির্বাচনের জন্য। লড়াইটা এখন নেহায়েতই গণতন্ত্রের। সহিংসতা গণতন্ত্রের লড়াইকে বিবর্ণ করছে, বিএনপিকে তা বুঝতে হবে। সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে তাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। তবে সহিংসতা দমনের নামে সরকার বিভিন্ন ফরমান জারি করে যেভাবে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে তাতে কী কোনো লাভ হবে? যারা সহিংসতা-নাশকতা করছে তাদের গ্রেফতার ও শাস্তির ব্যাপারে সবাই সোচ্চার। কিন্তু সরকারি অভিযান রাজনৈতিক নিপীড়নের হাতিয়ার হচ্ছে না তো! সংলাপের মাধ্যমে মূল সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলে 'দেখামাত্র গুলির' সিদ্ধান্ত না-ও তো নিতে হতে পারে। সহিংসতা বা দেখামাত্র গুলি কিন্তু সমস্যার প্রকৃত সমাধান নয়।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর