সোমবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

মেট্রোরেল প্রকল্প

রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেও মেট্রোরেল প্রকল্পকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রাজধানীর যানজট নিরসনের পাশাপাশি এ প্রকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে মাত্র ৩৮ মিনিটেই পৌঁছানো যাবে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের সনি্নকটে। মেট্রোরেল প্রকল্পের বিস্তারিত ডিজাইন তৈরির কাজ চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে চলছে মাটি পরীক্ষার কাজ। ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেলে থাকবে ১৬টি স্টেশন। ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। ঘণ্টায় মেট্রোরেলের গতি হবে গড়ে ৩২ কিলোমিটার। মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে জাপানি অর্থায়নে। জাইকার সঙ্গে এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে দেবে। বাকি ৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয় হবে সরকারি তহবিল থেকে। মেট্রোরেলের নির্ধারিত রুট অনুযায়ী উত্তরা থেকে পল্লবী, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, শাহবাগ, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, প্রেসক্লাব ও মতিঝিল পর্যন্ত যাবে। তিন পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে প্রকল্পটি। প্রথম ধাপে ২০১৯ সালে পল্লবী থেকে সোনারগাঁও হোটেল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পথ চালু হবে। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে সোনারগাঁও থেকে মতিঝিল এবং ২০২১ সাল নাগাদ উত্তরা থেকে পল্লবী অংশে মেট্রোরেল চালু হবে। রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে মেট্রোরেল তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক লাখ যাত্রী সাশ্রয়ী ভাড়ায় মানসম্মত এই যানবাহনে কর্মস্থলে যাওয়া বা সেখান থেকে বাসায় ফিরতে পারবে। রাজধানী ঢাকার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিপরীতে যে পরিবহন ব্যবস্থা চালু আছে তাতে পুরো নগরী কখনো কখনো যানজটের নগরীতে পরিণত হয়। জনসংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতির যে আরও অবনতি হবে তা সহজেই অনুমেয়। মেট্রোরেল সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা যায়। আমরা আশা করব প্রকল্পটি যথাসময়ে সম্পন্ন করতে সরকার সাধ্যের সব কিছুই করবে।

 

 

সর্বশেষ খবর