মঙ্গলবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

সমাধানের পথে যেতে হবে

তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের পাঁচ মন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকরা সহিংসতা বন্ধ এবং আলোচনার মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, দেশে যে অশান্তি চলছে তা চলতে দেওয়া উচিত নয়। সমস্যাটা যেহেতু রাজনৈতিক সেহেতু রাজনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান হওয়া উচিত। সম্পাদকদের অভিন্ন অভিমত, দেশ এভাবে চলতে পারে না এবং বিদ্যমান পরিস্থিতির সমাধান হতেই হবে। মানুষ কতকাল অসহায় হয়ে থাকবে, এ প্রশ্নও তুলে ধরেছেন তারা। সরকারের পক্ষ থেকে সম্পাদকদের গঠনমূলক পরামর্শকে আস্থায় নিয়ে বলা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ দেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে, এগিয়ে যাবে- এটি সবারই কাম্য। এ ব্যাপারে কোনো রাজনীতি নেই, দলমত নেই। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, সুন্দরভাবে দেশ চলুক- এটি তাদেরও প্রত্যাশা। দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিকগুলোর সম্পাদকদের সঙ্গে সরকারের মন্ত্রীদের বৈঠকটি নানা কারণে তাৎপর্যের দাবিদার। সন্ত্রাস ও সহিংসতা বন্ধের পথ উন্মোচনে সরকার সংবাদ মাধ্যমের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে প্রকারান্তরে আলাপ-আলোচনার প্রাসঙ্গিকতাকেই স্বীকার করে নিয়েছে। পরিবেশ সৃষ্টি হলে সরকারও যে সে পথে যেতে রাজি এ বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে বৈঠকে মন্ত্রীদের পক্ষ থেকে দেওয়া বক্তব্যে। দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তাসহ মানবাধিকার নিশ্চিত করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আলাপ-আলোচনা করেও যে সমাধানে পৌঁছানো যাবে না তা একটি সাধারণ সত্যি। এ উদ্দেশ্যে সরকার এবং আন্দোলনকারী জোট দুই পক্ষকেই সুবুদ্ধি ও সুবিবেচনার আশ্রয় নিতে হবে। সবচেয়ে আগে বন্ধ হওয়া দরকার রাজপথের সহিংসতা। সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে জনগণকে প্রতিপক্ষ ভাবার অবিমৃষ্যকারিতা যারা দেখাচ্ছেন তাদের ভুল পথ থেকে সরে আসতে হবে। একইভাবে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে যে বিষয়গুলো সংঘাতের কারণ বলে বিবেচিত হচ্ছে তার সমাধানে আলাপ-আলোচনার পথে যেতে হবে। গণতন্ত্রের স্বার্থেও সংঘাত এড়ানোর পথ বেছে নেওয়াই হবে সবার জন্য মঙ্গল।

 

সর্বশেষ খবর