শুক্রবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

ব্যবসায়ীদের দাবি

বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকটের অবসান দাবিতে গার্মেন্টসহ বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা মাঠে নেমেছেন। সংকট সমাধানে তারা প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। দুই নেত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে- স্বস্তিতে ব্যবসা করার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে। যারা অর্থনীতি ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপিতে। বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে দেশের শিল্প খাতকে সহিংস কর্মসূচির বাইরে রাখার এবং আগামী ২০ বছর হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা গত বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে দেশের পোশাকশিল্প ইমেজ সংকটে ভুগছে। ইতিমধ্যে পোশাকশিল্পের ৩০ শতাংশ অর্ডার হ্রাস পেয়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত দেশের চার কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা। সেহেতু তৈরি পোশাকশিল্প বিপন্ন হলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে এবং তার দায় রাজনীতিকদের গ্রহণ করতে হবে। দেশে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে তার উদ্ভব হয়েছে একপক্ষের যেনতেনভাবে ক্ষমতায় অাঁকড়ে থাকা এবং অন্যপক্ষের যেভাবেই হোক ক্ষমতায় যাওয়ার মনোভাবে। দেশের সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা এ দ্বন্দ্বে কোনো পক্ষ নয়। কিন্তু দুই পক্ষের ক্ষমতার লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। মেকি রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে ক্ষমতা অভিলাষীরা মুখে সরকারকে প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করলেও আঘাত হানছে সাধারণ মানুষের ওপর। যানবাহনে পেট্রলবোমা ছুড়ে নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে তারা পৈশাচিক উল্লাস প্রকাশ করছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সর্বনাশ করে লাখ লাখ মানুষকে বেকারত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অপরাজনীতির র্যাট রেসে। স্বভাবতই, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বক্তব্যে ১৬ কোটি মানুষের অভিব্যক্তিরই প্রকাশ ঘটেছে। আমাদের মতে, রাজনৈতিক সমঝোতার দাবিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে শুধু রাস্তায় নামলে চলবে না, অপরিণামদর্শী রাজনীতির কুশীলবদের সোজা পথে আনতে তাদের আর্থিক জোগানোও বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে নিয়ে গড়ে তুলতে হবে অপরাজনীতির হিংসাশ্রয়ী ও ক্ষমতালোভী অবতারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ।

সর্বশেষ খবর