রবিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

চলমান সহিংসতা ও নৈরাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মতামত ও প্রস্তাবনা

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু এ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠই নয়; বরং দেশমাতৃকার ভাষার অধিকার, স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালি জাতির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম ও অর্জনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে এক ঐতিহ্যিক, ঐতিহাসিক ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। জাতির ইতিহাসের নানা পরিক্রমায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই তার সময়োপযোগী, যুক্তিযুক্ত ও প্রয়োজনীয় অবদান রেখেছে। সামরিক স্বৈরাচার ও আধা-সামরিক স্বেচ্ছাচারী শাসকগোষ্ঠীর নামে দেশ-জাতির ওপরে জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকা জনদুষমনদের বিরুদ্ধেও কঠোরভাবে গর্জে উঠেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতবর্ষের ঐতিহাসিক পথচলার পরিক্রমায় এবং এর ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজও আমরা আমাদের মতামত, পরামর্শ ও করণীয় সম্পর্কে গোটা দেশবাসীকে অবহিত করতে চাই।

আমরা আজ এমন এক সময়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি যখন রাজনীতির নামে বা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নির্বিচারে দেশব্যাপী পেট্রলবোমা মেরে নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। অবরোধ-হরতাল আহ্বান করে হুকুমকারীরা ঘরে বসে থেকে ভাড়াটে টোকাই-সন্ত্রাসী দিয়ে বোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল ফাটানোর মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত এখন স্থাপন করেছে। নাশকতার জন্য আজ বাংলাদেশে পেট্রলবোমা নামে যা ব্যবহার করা হচ্ছে, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় তা কেবল যুদ্ধক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হতো। তখন এর নাম ছিল মলোটভ ককটেল। রাশিয়ান জেনারেল মলোটভের নামে নামকরণ করা এই মলোটভ ককটেল তখন ট্যাংক ধ্বংসের জন্য উদ্ভাবন ও ব্যবহার করা হয়েছিল। ট্যাংকের পেছন দিকে যেখানে ফুয়েল ট্যাংক থাকে সেখানে মলোটভ ককটেল বা পেট্রলবোমা ছুড়ে মারা হতো সেটিকে বিস্ফোরিত করে ট্যাংক অকেজো করার জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিগত শতকের পঞ্চাশের দশকে কোরিয়ার যুদ্ধেও একে ট্যাংকের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়। এই মলোটভ ককটেল নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে সেই যুদ্ধকালেও ব্যবহৃত হয়নি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপ ও আতঙ্কের বিষয়, যুদ্ধক্ষেত্রের এই ট্যাংক বিধ্বংসী মারণাস্ত্রটি আজ বাংলাদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে জনগণের বাহন বাস-ট্রাক ধ্বংস ও নিরস্ত্র-নিরীহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে। আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে আজ যা করা হচ্ছে তাকে কিছুতেই আন্দোলন বলা যায় না, এগুলো সন্ত্রাস। যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপে নিরীহ মানুষ হত্যা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ন্যক্কারজনক হামলা, নারী ও শিশু হত্যা, স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর ককটেল নিক্ষেপ, বোমার আঘাতে শিক্ষিকা হত্যাসহ গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৩৮ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৮ জনই পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

আমরা মানবতা বিধ্বংসী অবরোধ-হরতালে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। হরতাল-অবরোধে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সমীক্ষা হিসেবে বলা যায় : শুধু গার্মেন্ট খাতে একদিনে ক্ষতি হয় ১.১ বিলিয়ন টাকা। আমাদের হিসাব মতে একদিনে এই ক্ষতির পরিমাণ জাতীয় আয়ের শতকরা ০.১৫ ভাগ। কৃষিনির্ভর এই দেশে হরতাল-অবরোধের সরাসরি কুফল ভোগ করে কৃষক। কারণ, দেশের মোট জনশক্তির ৪৫% কৃষি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ২৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার প্রতিবেদন অনুষায়ী, সারা দেশে ৬০% চাল সরবরাহ কমে গেছে, ৪০% সবজি মাঠে পড়ে আছে এবং ২০ লাখ টন আলু ভোক্তার কাছে যেতে পারছে না। বলার অবকাশ নেই, হরতাল-অবরোধের শিকার হয় সরাসরি দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এই ধরনের কর্মসূচির কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাজার সংকুচিত হয়ে যায়। তথাপিও জীবিকার তাগিদে মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে তাদের রাস্তায় নামতে হয়। এ পর্যন্ত হতাহতের শিকার মানুষের সিংহভাগই দরিদ্র।

আজ শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। আমাদের দেশে প্রায় চার কোটি বিদ্যার্থী আছে। পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে বলা যায় : প্রাথমিক ও এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা; প্রাক-প্রাথমিক, এনজিও পরিচালিত বিশেষ বিদ্যালয়; জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট পরীক্ষা; দেশের আটটি সাধারণ বোর্ড, একটি কারিগরি বোর্ড, একটি মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক; উচ্চমাধ্যমিক, আলিম ইত্যাদি পরীক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চশিক্ষারত ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা গণনা করে এ পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। ধরে নিই, তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক গড়ে চারটি শ্রেণি-ঘণ্টা শিক্ষকদের কাছে পাঠগ্রহণ করে। তাহলে কিন্তু এই বিপুলসংখ্যক বিদ্যার্থী দৈনিক ১৬ কোটি শ্রেণি-ঘণ্টা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠগ্রহণ করে থাকে। সবাইকে ভাবতে হবে, হরতাল, অবরোধসহ যে কোনো কারণেই হোক, একদিন অপরিকল্পিতভাবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ মানেই শিক্ষা খাতে ক্ষতি দৈনিক ১৬ কোটি শ্রেণি-ঘণ্টা! প্রতি বছর শিক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই শ্রেণি-ঘণ্টাও বাড়বে প্রতিনিয়ত। আমরা কি কেউ ভেবে দেখেছি, বিশ্বায়নের এই প্রতিযোগিতার যুগে বিশ্বের অন্য দেশগুলো থেকে আমরা হরতাল বা অবরোধে প্রতিদিন ১৬ কোটি শিক্ষা-ঘণ্টা পিছিয়ে পড়ছি! এই পিছিয়ে পড়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ছে আমাদের জাতীয় জীবন ও অগ্রগতিতে। আমাদের ভাবতে হবে এটাও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্ধারিতভাবে বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ১৬ কোটি শিক্ষা-ঘণ্টা বঞ্চিত হয়ে বাঙালি জাতির তরুণ প্রজন্ম মনোগতভাবে যে শুকিয়ে যাচ্ছে, এই শুষ্কতার বিরূপ প্রভাব পড়বে ভবিষ্যৎ জাতিগঠনে। এই সন্তানরা আপাতত আপনার, আমার হলেও বৃহত্তর অর্থে জাতির সম্পদ। তাদের তমসায় ধাবিত করে রাজনীতিবিদরা নিশ্চয়ই অন্ধকারময় বাংলাদেশ কামনা করেন না!

আমরা এ পর্যায়ে আজকের আপাত অচলাবস্থার প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে চাই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামক আমাদের প্রাণপ্রিয় রাষ্ট্রটি এক দীর্ঘ সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে। সার্বভৌম এ রাষ্ট্রের মহান স্থপতি হলেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতৃত্ব, দিক নির্দেশনা ও সার্বিক দূরদর্শিতার ফলশ্রুতিতে মুক্তি-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা দেশকে হানাদারমুক্ত করি। একটি দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার যথাযথ এখতিয়ার হলো রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের; প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীর কাজ এটি নয়। স্বাভাবিকভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু অসম সাহসিকতা ও দৃঢ়তার সঙ্গে সেই কাজটিই সম্পন্ন করেছেন। তারপরও নিয়মানুযায়ী মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছে এবং জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই ছিলেন প্রথম রাষ্ট্রপতি; পরবর্তী সময় যা আমাদের পবিত্র সংবিধানেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও পরবর্তী সময়ের প্রধানমন্ত্রী বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান ও অবমাননা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক লন্ডনে প্রদত্ত বক্তব্য নেহাত শিষ্টাচারবহিভর্ূত ধৃষ্টতা, ইতিহাস বিকৃতি ও সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। তার এই অপরিণামদর্শী বক্তব্যের পর থেকেই দেশের রাজনীতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত অস্থিরতা সৃষ্টি হয়, যা ক্রমাগতভাবে নাশকতায় রূপ নিয়েছে।

দেশব্যাপী অব্যাহত সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর তাণ্ডবলীলার পরিপ্রেক্ষিতে জাতির মেধা-মনন ও বিবেকের সর্বোচ্চ পাদপীঠ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক সমাজ গত ২৭ জানুয়ারি 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি' কর্তৃক আয়োজিত সাধারণ সভায় দেশ ও জাতির স্বার্থে কিছু সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির বিষয়ে মতামত দিয়েছেন।

প্রথমত, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত মৌন মিছিল করা হবে।

দ্বিতীয়ত, অনতিবিলম্বে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের শিকার এবং অগ্নিদগ্ধ মানুষের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কাজে সহযোগিতার জন্য 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি' সব শিক্ষকের একদিনের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করবে।

তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি যুগপৎ কর্মসূচি পালন করে প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত রাখবে।

চতুর্থত, যতদিন পর্যন্ত ধ্বংসাত্দক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে শিক্ষক সমিতিও ততদিন পর্যন্ত দেশ ও জাতির পক্ষে এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে নানা কর্মসূচি পালন অব্যাহত রাখবে। প্রয়োজনে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই প্রতিবাদের কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই-

সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে আরও কঠোর শাস্তি বিধান করুন;

ক্ষতিগ্রস্তদের সম্পূর্ণ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন;

এসিড অপরাধ দমন আইন-২০০২ এর মতো সংসদের চলতি অধিবেশনেই সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে 'পেট্রলবোমা অপরাধ দমন' নামে নতুন আইন প্রণয়ন করুন;

সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কথা বলার ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হোন।

আর অবরোধ-হরতালের মতো অযৌক্তিক কর্মসূচি প্রদানকারীদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে-

অত্যাসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে এসব অপরিণামদর্শী কর্মসূচি প্রত্যাহার করুন;

ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা-শহীদদের মাস, আবেগের মাস। এরপরই মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস এবং তারপর এপ্রিল মাসেই এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। তাই দেশের সার্বিক কল্যাণ চিন্তা করে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করুন;

দেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক-চতুর্থাংশই শিক্ষার্থী। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে শিক্ষিত জাতির বিকল্প নেই। তাই কোনো যৌক্তিক রাজনৈতিক কর্মসূচি হলেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রমকে এর আওতামুক্ত রাখুন। উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের উত্তাল গণআন্দোলনের সময়ও দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল। সেদিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সামনে দেশপ্রেম ছিল প্রধান রাজনৈতিক দর্শন।

(লেখাটি ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের পঠিত বক্তব্যের সারসংক্ষেপ)

 

 

সর্বশেষ খবর