শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩০০ কোটি মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ, তার পরের স্থান বাংলাদেশের। দেশে ভয়াবহ রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালোভাবে সচল থাকার কারণে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাওয়াও এ সাফল্য নিশ্চিত করেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাওয়া দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর হলেও একই সঙ্গে একটি নেতিবাচক বিষয়ও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও দেশের রপ্তানি বাণিজ্য রমরমা অবস্থা গত দুই মাসে বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এর বিপরীতে হ্রাস পেয়েছে আমদানি। নিরাপত্তাজনিত কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানিতে অনুৎসাহী হয়ে পড়েছেন। ফলে গত দুই মাসে আমদানি উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পেয়েছে। সে অর্থ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্ফীত রাখতে সাহায্য করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার যে রিজার্ভ রয়েছে তা দিয়ে সাত মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব। বর্তমান সরকারের আমলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে বেশ দ্রুতগতিতে। ২০১৩ সালের ৭ মে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ১৫শ কোটি ডলার অতিক্রম করে। গত ২১ মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি সত্ত্বেও তা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর কোনো দৃশ্যমান প্রভাবই রাখেনি। তবে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের পরবর্তী আমদানি বিল পরিশোধের পর বর্তমান রিজার্ভ কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে রপ্তানি আয়ের পাশাপাশি রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধির কারণে। দুই ক্ষেত্রেই শ্রমজীবী মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। দেশের অর্থনীতিকে যারা টিকিয়ে রাখছেন, যারা এগিয়ে নিচ্ছেন তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের অবদানও আকাশছোঁয়া। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা বহাল রাখতে হলে উন্নয়নমুখী রাজনীতির বিকাশ ঘটাতে হবে। রাজনীতিতে গড়ে তুলতে হবে পারস্পরিক আস্থা ও সমঝোতার পরিবেশ, যা অর্জনে আমাদের অবশ্যই গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে হবে। যার কোনো বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর