শিরোনাম
রবিবার, ১ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

জঙ্গিবাদের হুমকি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অভিজিৎ রায় হত্যার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন আনসার বাংলা সেভেন। বৃহস্পতিবার বইমেলা থেকে ফেরার পথে অভিজিৎ রায়কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। টিএসসির মোড়ে পুলিশের তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকেও তারা এলোপাতাড়িভাবে কোপায়। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে বন্যা এখন স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্মর্তব্য, অভিজিৎ ও তার স্ত্রী বন্যাকে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই মারা যান অভিজিৎ। শুক্রবার সকালে বন্যাকে নেওয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ১৬ কোটি মানুষ যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তখন অভিজিতের হত্যাকাণ্ড নতুন শঙ্কার জানান দিল। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে জঙ্গিবাদীরা যে থাবা বিস্তারের চেষ্টা করছে এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তা প্রমাণিত হলো। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অভিজিৎকে জঙ্গিবাদীরা টার্গেট করেছিল বেশ আগে। শেষ পর্যন্ত হুমকিদানকারীদের কথাই ঠিক হলো। একই সঙ্গে প্রমাণিত হলো জঙ্গিদের হাতও অনেক বেশি লম্বা। সন্দেহ নেই জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের মনোভাব বেশ কড়া। এ-সংক্রান্ত আইনগুলোও কম কড়া নয়। কিন্তু আইনে ফাঁক থাকায় দেশের কড়া আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জঙ্গিবাদীরা অনায়াসে জামিন পেয়ে যায়। তথাকথিত তিন স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অভিজিৎ খুন হলেও পুলিশ ছিল নির্বিকার। প্রমাণিত হয়েছে কড়া আইন কিংবা নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে জঙ্গিবাদকে থামানো যাবে না। জঙ্গিবাদ থামাতে শান্তির ধর্ম ইসলামের সঙ্গে জঙ্গিবাদের যে কোনো সম্পর্ক নেই কোরআন হাদিসের নিরিখে সে সত্য তুলে ধরে বিপথগামীদের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। কেউ যাতে বিপথগামী না হয় তা নিশ্চিত করতে সারা দেশে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। জঙ্গিবাদ ঠেকানোর সেটিই হবে প্রকৃষ্ট পথ।

সর্বশেষ খবর