শিরোনাম
সোমবার, ২ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

সম্ভাবনার নাম তথ্যপ্রযুক্তি

আজকের যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। এই যুগে দেশ ও জাতিকে অগ্রসর বিশ্বের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে সামর্থ্যের পরিচয় দিতে হবে। এর অন্যথা হলে জাতিগতভাবে পিছিয়ে পড়তে হবে। অর্থনৈতিকভাবে অর্জিত হবে না কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও দেখা দেবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া। তথ্যপ্রযুক্তি ও উন্নয়ন একবিংশ শতাব্দীর বাস্তবতায় সমার্থক শব্দ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় বর্তমান সরকার এ ক্ষেত্রে দেশের সক্ষমতা গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অনুকরণীয় বলে বিবেচিত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে দেশ গড়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের জন্য দেশে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। চলছে আরও একডজন হাইটেক পার্ক তৈরির প্রক্রিয়া। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, হাইটেক পার্কের মাধ্যমে ১০ লাখ আইটি পেশাদার তৈরি করা হবে। এর ফলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব হবে। দৃশ্যত উচ্চাভিলাষী মনে হলেও আজকের যুগের নিরিখে তা কোনো অবাস্তব চিত্রকল্প নয়। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা স্পুটনিক গতিতে বাড়ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কয়েক কোটি মানুষ এ প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হবে। বর্তমানে জিডিপিতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবদান মাত্র এক শতাংশ। সঠিক পথে এগুতে পারলে এটিই হবে জিডিপির অন্যতম প্রধান খাত। তথ্যপ্রযুুক্তি সহজলভ্য করে তুলতে সরকার ইতিমধ্যে সারা দেশে ৫৩ হাজার ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছে। এর ফলে সরকারি নানা ধরনের সেবা সাধারণ মানুষের আওতার মধ্যে এসেছে। গত ছয় বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের আয় ২৫ মিলিয়ন ডলার থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এ খাতের উন্নয়নে কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। সারা দেশে আরও ১২টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ দেশকে উন্নয়নের ইপ্সিত লক্ষ্যে এগিয়ে নেবে এটি প্রতিটি সচেতন মানুষের বিশ্বাস। এ ক্ষেত্রে নেওয়া প্রতিটি প্রকল্প যাতে সময় মতো এবং যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর