বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

এইচএসসির অনিশ্চয়তা

এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে প্রায় ১২ লাখ পরীক্ষার্থী ভুগছে মহাঅনিশ্চয়তায়। পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হবে এ পরীক্ষা। এসএসসি পরীক্ষা তার আগে শেষ হবে কিনা এবং শেষ না হলে একই সময়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা চালানো সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে কিনা সে প্রশ্নও বড় মাপে আলোচিত হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। কিন্তু রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা না হলে তাদের পিছিয়ে পড়তে হবে। লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে সব পরিকল্পনা। রাজনৈতিক অস্থিরতায় চলমান মাধ্যমিক বা এসএসসি পরীক্ষার মতো শুধু শুক্র বা শনিবার অনুষ্ঠিত হলে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হতে কয়েক মাস লেগে যাবে, যা তাদের উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করবে। সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে তারা যথাসময়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ও শেষ করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে বলা যতটা সহজ বাস্তবতা ততটাই কঠিন। ফলে পরীক্ষার্থীদের মনোবলের ওপর তা নেতিবাচক চাপ সৃষ্টি করছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, রাজনৈতিক দলগুলো পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে কোনো স্পর্শকাতরতায় ভুগছে না। হরতাল-অবরোধ আহ্বানকারী দলগুলোর মনোভাব দেখে মনে হয়, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বড় কথা নয়, তাদের আন্দোলনের সাফল্য-ব্যর্থতাই জাতির জন্য সবকিছু। স্মর্তব্য, ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা হরতালের কারণে ৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। দেশব্যাপী চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ওই পরীক্ষাসূচি। একের পর এক পরীক্ষা পেছানোয় শিক্ষার্থীদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। পরীক্ষা শুরুর আগেই একই সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। রাজনৈতিক দলগুলোর দেশপ্রেমবোধই এ সংকটের সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারে। তারা যদি এইচএসসি পরীক্ষার দিনগুলোতে হরতাল না ডাকেন বা সাংঘর্ষিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন তবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা রেহাই পেতে পারে।

সর্বশেষ খবর