শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

গরুর গাড়ির চাক্কার মতো জিলাপি!

গোলাম মাওলা রনি

গরুর গাড়ির চাক্কার মতো জিলাপি!

আজকের লেখার প্রতিপাদ্য ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। আমি নিজে দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী- কোনো দল থেকে নয়। স্বতন্ত্র দাঁড়াব এবং সর্বোতভাবে চেষ্টা করব তুমুল প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জয়লাভ করার। আজকের লেখায় যেন কোনোমতেই নিজের গীত না গাওয়া হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থেকে এমন কতগুলো বিষয় তুলে আনার চেষ্টা করব যা কিনা এ মুহূর্তে নগরবাসীকে ভাবতে হবে। প্রথম বিষয় হলো- দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা, সন্ত্রাস, গুপ্ত হামলা এবং গুপ্ত হত্যার মতো ভয়ঙ্কর সব ঘটনার মধ্যে সরকার কেন তড়িঘড়ি করে নির্বাচন করতে চাচ্ছে এ ব্যাপারে আমরা কি কোনো চিন্তা-ভাবনা করব নাকি যার যার রাজনৈতিক বোধ, বুদ্ধি এবং বিশ্বাসকে আদিকালের মতো অাঁকড়ে ধরে হালুম-হুলুম বলে নির্বাচনী যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ব কিংবা সর্বশক্তি দিয়ে নির্বাচনকে প্রতিহত করব?

আমার মতে, ঢাকাবাসী মেয়র নির্বাচন চায়। সঙ্গে সঙ্গে এও চায় যে, একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে সব দলের যোগ্য প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হোক। যদি বর্তমান সময়কে টার্গেট করে নির্বাচন হয় তবে তা গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের চেয়ে ন্যক্কারজনক এবং একটি অস্বস্তিকর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সরকার দেশে ও বিদেশে আরও বেশি ইমেজ সংকটে পড়বে। গত দুই বছরের রাজনৈতিক হানাহানির কারণে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা শূন্যের কোঠায়। জনগণ যার জন্য পরিশ্রম করে না, যাকে ভোট দেয় না এবং যাকে পছন্দ করে না সে যদি তাদের সামনে এসে বলে- এই ব্যাটারা শোন : "আমি তোমাদের নেতা। তোমরা মোরে ভোট দিয়াছো, ভোটকেন্দ্রে যাও নাই- কিন্তু তোমাদের কলিজার মধ্যে মোর জন্য পরিচিতির বাক্স এবং সেই বাক্সে মধ্যে ফুলের মালা লুকাইয়া রাখছিলা তা কিন্তু মুই বুঝবার পারছিলাম। তাই কষ্ট করে ভোটকেন্দ্রে গিয়া, লাইনে দাঁড়াইয়্যা তোমরা কষ্ট করবা তা মোর সৈহ্য অয় নাই। তোমাদের কষ্ট দূর করণের লাইগ্যা আমি নিজে মাথার ঘাম পায়ে ফেইল্যা সিল পিডাইলাম এবং তোমাগো নেতা অইলাম। এহন খুশিতে তালিয়া বাজাও, বোগলে ত্যাল-সাবান মাখাইয়া বাজাইতে থাক এবং ঘড়া ভইরা মইষের দুধ আইন্যা আমারে গোসল করাও" তাহলে মানুষের মনের কী অবস্থা হবে!

স্বঘোষিত, স্বনির্ধারিত এবং অটোমেটিক মেশিনে নির্বাচিত নেতাদের বাইরে যারা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে বিরোধী দল থেকে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তারাও কেউ ভালো নেই। অনেকে জেলে রয়েছেন, অনেকে পলাতক এবং বাকিরা জনারণ্যের প্রতিপক্ষের নাচুনি-কুদুনি এবং নাকানি-চুবানি খেয়ে বার বার অনুতাপে ভুগছেন- 'কেন তারা এত কষ্ট করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন।' অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইদানীং কোনো জনপ্রতিনিধিকেই পাত্তা দিচ্ছেন না বা দেওয়ার প্রয়োজনও মনে করছেন না। ফলে পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনটাই এখন অবাঞ্ছিত, অবহেলিত, বঞ্চিত এবং হতভাগ্যদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাদের বিশ্বাসের জায়গা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তারা এখন আর নিজেদের নেতা মনে করেন না। পুলিশের দাবড়ানি খেতে খেতে তারা এখন নিজেদের অন্য কিছু ভাবতে শুরু করেছেন।

রাজনীতির এই মহাদুর্যোগ আরও ভয়াবহ করে তুলেছে মিডিয়া জগতের সংবাদকর্মী নামধারী কিছু নিম্নমানের দলীয় পাণ্ডাদের নিত্যকার বাহাস ও হঠকারী কথাবার্তা এবং প্রচার-প্রচারণার কারণে। এদের কথাবার্তা শুনলে আমার বার বার চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি অভিজাত পরিবারের কিশোরী মেয়েটির কথা মনে পড়ে। তার বাবার একটি কটূক্তি শুনে মেয়েটির ভারি অভিমান হয়। সে ঘর থেকে বের হয়ে রাগ ও জিদের বশে একটি সাধারণ ছেলেকে বিয়ে করে বসে। একদিন বাবা ও মেয়ে আমার সামনে এলে আমি জিজ্ঞাসা করলাম কী এমন কথা তোমার বাবা বলেছিলেন যা শুনে তোমার মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছিল এবং যার ফলে তুমি এত্তবড় একটি সর্বনাশ করে ফেললে। মেয়েটি মাথা নিচু করে বলেছিল- বাবা আমাকে আঞ্চলিক ভাষায় একটি বিশ্রী গালি দিয়েছিল। আমি কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম গালিটি কি আমাকে শোনানো যাবে? তখন মেয়েটি মাথা নিচু করে বলল- বাবা অফিস থেকে এসে আমাকে টেলিভিশনের সামনে দেখে রাগান্বিত হয়ে বলেছিলেন- তুঁই আর তোয়ার টিভির কোয়ালত হিচা মারি।

দেশের চরম এই অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক-দুরবস্থার সময়ে যদি সরকার তড়িঘড়ি করে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আয়োজন করে তখন যোগ্য প্রার্থীর তুলনায় ছক্কা ছয়ফুর প্রকৃতির প্রার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। তারা ভোটারদের উদ্দেশ করে বলবে- 'ভাইছব! ভোট দ্যান। আমি আপনাগোরে গরুর গাড়ির চাক্কার মতো মস্তবড় জিলাপি বানাইয়্যা খাওয়াইবাম। কোল বালিশের মতো চমচম দিবাইল আর হেলিকপ্টারের মতো বড় বড় মুরগির আস্ত রোস্ট কইরা চকবাজারে রাইখ্যা দিবাইন। আপনারা আমারে ভোট দিলে আমি হগল মশা-মাছি-ডাঁশ তাড়াইয়্যা দিবাইন। আমি আপনাগো পুলার নাহাইন। আমি মেয়র ওইলে আপনাগো সবাইরে সারাজীবন দুধ-কলা দিয়া ভাত দিবাইন...।'

ঢাকার মেয়রকে বলা হয় নগরপিতা। এখানে পিতা শব্দটি মূলত অভিভাবক অর্থে ব্যবহৃত হয়। অভিভাবক হিসেবে মেয়র তার নির্বাচনী এলাকার সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, স্থাপনা, বিনোদন কেন্দ্র, হাটবাজার, বিপণি বিতান ইত্যাদির মান উন্নয়ন করবেন- করপোরেশন কর্তৃক সেবা নিশ্চিত করবেন এবং সেবা-পরিসেবার জন্য কর আদায় করবেন। অভিভাবক হিসেবে সবাই তার নেতৃত্ব মেনে নেবে এবং বিপদে-আপদে তার বুদ্ধি-পরামর্শ এবং আশ্রয় গ্রহণ করবেন। তিনি পুরো এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। সবার ওপর তার অনুপম নেতৃত্বের কর্তৃত্ব স্থাপন করে তাদের পরিচালিত করবেন। করপোরেশনে কর্মরত হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দিয়ে তিনি নগরবাসীর সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবেন। আর এ কাজ করার জন্য সরকারি কুদরতে আমরা যদি একজন নয়া ছক্কা ছয়ফুরকে পেয়ে যাই তাহলে তো আর কথাই নেই- এক ধাক্কায় জাহান্নাম থেকে জান্নাতে পৌঁছে যাব।

সম্মানিত পাঠকগণ একবার একটু চিন্তা করুন তো ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাহেব কাদের অভিভাবক হবেন? এই এলাকায় রয়েছে সচিবালয় যেখানে ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে সব সচিব তাদের অধঃস্তন কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে বসেন। আরও বসেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীরা। রয়েছে পুলিশ, রেলওয়ে, ফায়ার ব্রিগেড, আনসার ক্যাম্প, বিআরটিসি প্রভৃতি সরকারি অফিসের সদর দফতর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের প্রায় সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সদর দফতর, করপোরেট অফিসগুলোর প্রধান কার্যালয়, প্রেসক্লাব, বাসস, বায়তুল মোকাররম, জয়কালী মন্দির, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং খ্রিস্টানদের উপাসনালয়সহ আরও অনেক কিছু। আমাদের মহানগরীর আগামী দিনের অভিভাবক যদি আবহমান বাংলার ধর্ম, সংস্কৃতি, শিক্ষাদীক্ষা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান গরিমার অধিকারী না হন তাহলে নগরবাসীর পদে পদে অপমানিত ও লাঞ্ছিত না হয়ে কোনো উপায় থাকবে না।

পৃথিবীর বড় শহরগুলোতে নির্বাচিত মেয়ররাই হয়ে থাকেন দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। আমাদের দৃষ্টিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে মনে করা হয় সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি। কিন্তু তিনি তার নিজ দেশে সম্ভবত তৃতীয় অর্থাৎ তিন নম্বর প্রভাবশালী ব্যক্তি। মার্কিনিরা নিউইয়র্কের মেয়রকে এক নম্বর প্রভাবশালী এবং সিকাগোর মেয়রকে দুই নম্বর প্রভাবশালী ব্যক্তি মনে করে। অন্যদিকে রাশিয়ার মতো দেশে মস্কোর মেয়রকে মনে করা হয় দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তি। সময়ে সময়ে মস্কোর মেয়রকে এক নম্বর ব্যক্তিও মনে করা হতো। সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের আগে বরিস ইয়েলৎসিন যখন মস্কোর মেয়র ছিলেন তখন তাকে গর্বাচেভের চেয়েও প্রভাবশালী মনে করা হতো। তাবৎ দুনিয়ার যখন এ অবস্থা তখন যদি আমরা যেনতেন মার্কা একটা নির্বাচন করে ছক্কা ছয়ফুরদের নিয়ে আসি তখন দেশে-বিদেশে পুরো পরিস্থিতি একদিকে যেমন সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে পড়বে তেমনি মেয়র পদটি পুরো জাতির জন্য গলার কাঁটা হয়ে পড়বে। ছোট্ট একটি কল্পিত প্রেক্ষাপটের মাধ্যমে বিষয়টি বর্ণনা করে আজকের লেখাটি শেষ করব।

নগর ভবনে নিজ কামরায় বসে মেয়র ছক্কা ছয়ফুর দরদর করে ঘামছেন। করপোরেশনের অনুগত এবং ভালো মানুষ প্রকৃতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রঞ্জন দেবনাথ যতই বলছেন- স্যার টেনশন করবেন না। আমি আছি না! সবকিছু শিখিয়ে পড়িয়ে আপনাকে এমন পাকা করে দেব যে বিদেশি মেহমানরা কিছু বুঝতেই পারবেন না। রঞ্জন বাবুর কথা শুনে মেয়র মুখ তুলে অসহায়ের মতো তাকালেন এবং পরনের পাঞ্জাবির এক কোণা তুলে মুখের ঘাম মুছে নিলেন। আগামী মাসের ৭ তারিখ পৃথিবীর ১০টি দেশের সরকারপ্রধান ঢাকা আসবেন। তাদের নাগরিক সংবর্ধনা দিতে হবে। এ জন্য ১০টি সোনার চাবি বানাতে হবে। অনুষ্ঠানে সেই চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে মেহমানদের হাতে তুলে দিতে হবে এবং উদ্বোধনী বক্তব্য প্রদান করতে হবে ইংরেজিতে। মেয়র সোনার চাবিগুলো বানানোর দায়িত্ব নিজেই নিলেন কিন্তু অনুষ্ঠানের বক্তব্য প্রদানের রীতিনীতি এবং আইন-কানুনের কথাবার্তা শুনে তার ঘাম দিয়ে জ্বর এসে গেল।

রঞ্জন বাবুর কথা মতো মেয়র ডানহিল ব্র্যান্ডের শার্ট, প্যান্ট, টাই, কোট, রুমাল, জুতা এবং পাটেক ফিলিপ ব্র্যান্ডের একটি ঘড়ি কিনে আনলেন। সেগুলো পরে রোজ অফিসে আসেন এবং ঘণ্টা দুয়েক পায়চারি করে নিজেকে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সব কিছু প্রায় ঠিকই হয়ে গিয়েছিল কিন্তু সমস্যা বাধল চা খাওয়া নিয়ে। মেয়র সারা জীবন চায়ের কাপের গরম চা পিরিচে ঢেলে প্রথম ফু দিয়ে ঠাণ্ডা করে তারপর সুরুত সুরুত শব্দ করে সেই চা পান করেন। রঞ্জন বাবু বললেন স্যার ওভাবে হবে না। আপনাকে কাপ থেকেই চা পান করতে হবে। চায়ের কাপে মুখ দিয়ে কাপের মধ্যে চায়ের দিকে নজর না দিয়ে মেহমানদের মুখের দিকে তাকাতে হবে। এরপর মুচকি হেসে এমনভাবে চায়ের কাপে চুমুক দিতে হবে যাতে সামান্যতম শব্দও যেন অন্যের কানে না পৌঁছে। রঞ্জন বাবুর কথা শুনে মেয়রের হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে গেল। ভয়ে তিনি কাঁপতে লাগলেন। সর্বনাশ! অনুষ্ঠান তো কালই। শেষ মুহূর্তে কী এক ভয়ানক মসিবত হাজির হলো রে বাবা!

রঞ্জন বাবু দক্ষ আমলা। তিনি বেল টিপে দুই কাপ গরম কফির অর্ডার দিয়ে বললেন- স্যার চিন্তা করবেন না। ২/৩ বার প্র্যাকটিস করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে বেয়ারা এসে কফি দিয়ে গেল। রঞ্জন বাবু প্রথমে নিজে কফিতে চুমুক দিলেন। তারপর বললেন- স্যার, সোজা হয়ে বসুন। শরীরের পেশিগুলোকে আলগা করে দিন। এরপর আমার দিকে তাকান। ডান হাত দিয়ে কফির কাপ মুখের কাছে নিয়ে হালকা করে চুমুক দিন। মেয়র রঞ্জন বাবুর কথা মতো কম্পিত হস্তে চায়ের কাপ উঠিয়ে চুমুক দিতে গিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন। তিনি অবচেতন মনে কাপকে পিরিচ মনে করলেন এবং ধূমায়িত গরম কফিকে ঠাণ্ডা চা মনে করলেন। স্বভাব মতো সুরুত করে একটান দিয়ে অর্ধেক কাপ গরম কফি মুখের মধ্যে তুলে নিলেন। জ্ঞান হারানোর আগেই শুধু জোরে চিৎকার করে বললেন- ওরে বাবারে! ওরে মারে! মইরা গেলামরে।

মেয়রকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলো। মেয়রের পক্ষে রঞ্জন বাবু অভ্যাগত মেহমানদের স্বাগত জানালেন এবং সোনার চাবি উপহার দিলেন। অতিথিরা নিজ নিজ দেশে ফিরে গেলেন এবং মেয়রও হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন। এর কয়দিন পরই দেশি-বিদেশি পত্রিকায় খবর বেরুল- 'মেয়রের সোনার চাবির সোনা জালিয়াতি'। অর্থাৎ ছক্কা ছয়ফুর যে সোনার চাবিগুলো বানিয়েছিলেন তাতে একফোঁটা সোনাও নাকি নেই- পুরোটাই নকল সোনা দিয়ে বানানো হয়েছিল।

লেখক : কলামিস্ট

 

 

সর্বশেষ খবর