শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

টাইগারদের জয়

বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এক স্মরণীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের নেলসন শহরের স্যাঙ্টন ওভাল মাঠে এ জয়ের ফলে বিশ্বকাপে মাশরাফি-সাকিব বাহিনীর কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল হলো। টেস্ট পরিবারের বাইরের দল স্কটল্যান্ড বড় ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বী না হলেও ৩১৮ রান করে বাংলাদেশকে এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেয়। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুল হক ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পাওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। তার বদলে ব্যাট করতে নামা সৌম্য সরকার মাত্র ৫ রানে আউট হলে দৃশ্যত আশঙ্কার মধ্যে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু টাইগারদের অদম্য মনোভাব এ চ্যালেঞ্জ উতরাতে সহায়ক হয়। তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের হার না মানা ব্যাটিং বাংলাদেশ দলের সমর্থকদের আশ্বস্ত করে। মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং ঝড়ে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের জয়। পরবর্তীতে সাকিব আল হাসান ও সাবি্বর রহমানের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ১১ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত জয়। এই জয়ের ফলে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো তিনশর বেশি রান তাড়া করে জয়ের কৃতিত্ব দেখাল টাইগাররা। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ এবং সূচনাও ছিল দারুণ। ৩৮ রানে দুই উইকেট ফেলে স্কটল্যান্ডকে চাপের মুখে ফেলে তারা। কিন্তু কোয়েটজার ও ম্যাট মাচানের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটে সে চাপকে তারা প্রতিহত করে। চতুর্থ উইকেটে স্কটিশ অধিনায়ক প্রেস্টন মসমেনের সঙ্গে কোয়েটজারের ১৪১ রানের জুটি স্কটল্যান্ডকে রানের পাহাড় গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কোয়েটজারের দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিং ছিল তাদের জন্য এক বড় অর্জন। চার ছক্কা ও ১৭টি চার সমৃদ্ধ ১৩৪ বলে ১৫৬ রান করে তিনি নতুন রেকর্ড স্থাপনও করেছেন। বিশ্বকাপে সহযোগী দেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি দেড়শ রান করার কৃতিত্ব দেখালেন। বাংলাদেশ যখন কাণ্ডজ্ঞানহীন রাজনৈতিক সহিংসতায় দগ্ধ হচ্ছে সে মুহূর্তে টাইগারদের জয় আতঙ্কক্লিষ্ট দেশবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে। বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন পূরণে এই জয় সহায়ক হবে, এমনটিই আশা করছে দেশের প্রতিটি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ। আমরা টাইগারদের এই প্রত্যাশিত জয়কে অভিনন্দন জানাই। আশা করি সামনের ম্যাচগুলোতে তারা ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হিসেবেই লড়বে। মাশরাফি বাহিনীর জন্য আমাদের শুভ কামনা।

সর্বশেষ খবর