শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

সিটি নির্বাচন

ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি নির্বাচন নাশকতানির্ভর রাজনীতি থেকে জাতিকে রেহাই দেবে- এমন আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে সিটি নির্বাচনকে তারা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় এ রাজনৈতিক দলটির পক্ষ থেকে তিন সিটির মেয়র পদে প্রার্থী ঘোষণাও করা হয়েছে। অরাজনৈতিকভাবে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়নের কোনো সুযোগ না থাকলেও দলীয় ব্যক্তিদের নির্বাচনে দাঁড়ানো কিংবা কোনো প্রার্থীকে দলীয়ভাবে সমর্থন করার ক্ষেত্রে বাধা নেই। বিএনপির এ ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন স্বস্তির হাওয়া বইতে সাহায্য করেছে তেমনি জনমনে সৃষ্টি হয়েছে আশাবাদ। আশা করা হচ্ছে তিন সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট তাদের অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করবে বা নিদেনপক্ষে স্থগিত রাখবে। পেট্রলবোমা, ককটেল ও হরতাল নির্ভর অবরোধ কর্মসূচির লক্ষ্য দৃশ্যত সরকারকে জব্দ করা হলেও এ কর্মসূচি আদৌ কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে কি না তা সংশয়ের ঊর্ধ্বে নয়। সরকারকে জব্দ করার ক্ষেত্রে অবরোধের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় থাকলেও তারা সাধারণ মানুষকে জব্দ করার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে অবদান রেখেছে। দেশবাসীর জানমালের নিরাপত্তা ও স্বস্তি কেড়ে নিয়েছে এ আত্দঘাতী কর্মসূচি। আন্দোলনের ভুল টার্গেটের কারণে সরকারের প্রতি দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অসন্তোষ সত্ত্বেও বিএনপি কোনো সুবিধা নিতে পারেনি। ভুল পথের আন্দোলনে গড়ে ওঠেনি জনসম্পৃক্ততা। আশা করা হচ্ছে সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি তাদের অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে আসবে। জনগণের সামনে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের যে সুযোগ সৃষ্টি করেছে তা ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাবে। আশার কথা, সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমাদের মতে শুধু স্বাগত জানানো নয়, সুস্থ পরিবেশ সৃষ্টিতেও সরকারকে উদার হতে হবে। বুঝতে হবে প্রতিপক্ষকে আস্থায় রেখে দেশ শাসনের মধ্যেই যে কোনো সরকারের সত্যিকারের সাফল্য নিহিত। তা নিশ্চিত করতে বিএনপি জোটকে অবরোধনির্ভর রাজনীতি থেকে সরিয়ে আনতে আরো উদ্যোগী হতে হবে।

 

সর্বশেষ খবর