মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

এইচএসসি পরীক্ষা

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে ১২ লাখ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা উৎকণ্ঠায় ভুগছেন। অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ১ এপ্রিল থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনের জন্য ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা হবে না। ওই সময়ের নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে নেওয়া হবে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই থাক রুটিন অনুযায়ীই নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা কাম্য হলেও সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি পরীক্ষার্থীদের জন্য যে নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে তা এড়ানো কঠিন। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট ঘোষণা করেছে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা ও চট্টগ্রামে না থাকলেও সারা দেশে হরতাল-অবরোধ থাকবে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য ২০-দলীয় জোটের কোনো ছাড় না থাকায় পরীক্ষার্থীদের ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়া-আসা করতে হবে। পরীক্ষাও দিতে হবে বাড়তি চাপের মধ্যে। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী তাত্তি্বক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ১১ জুন। এরপর ১৩ থেকে ২২ জুনের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রতিবারের মতো এবারও এ পরীক্ষা আটটি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসহ একটি মাদ্রাসা বোর্ড এবং একটি কারিগরি বোর্ডের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। স্মর্তব্য, প্রায় দুই মাস আগে শুরু হওয়া এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি। চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়েছে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে। হরতাল ও অবরোধের কারণে ইতিমধ্যে ১১ বার পরীক্ষার সময়সূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা নিতে হয়েছে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে। এইচএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে একই প্রতিকূলতার পুনরাবৃত্তি হলে জুলাই মাসের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। ওই সময়ে রোজা ও ঈদের কারণে পরীক্ষা নেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হওয়া সভ্য সমাজের জন্য একটি অকল্পনীয় বিষয়। স্বাধীনতার ৪৪ বছরে নানা ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে গেলেও আমাদের রাজনীতিকরা যে এখনো নিজেদের মনমানসিকতাকে জংলি সমাজে আবদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে তাদের দায়িত্বহীনতা তারই প্রমাণ।

সর্বশেষ খবর