বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা
বিচিত্রিতা

সেমিটিক জাতি

সেমিটিক জাতির আদি বাসস্থান ছিল ইসলামের জন্মভূমি আরব দেশ। ইহুদি ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুসা (আ.), খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক হজরত ঈসা (আ.) এবং ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এ সেমিটিক জাতিরই সন্তান। একেশ্বরবাদী এ তিনটি ধর্মের মধ্যে ইসলাম হলো সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম। প্রাচ্যদেশ আরব ছিল সেমিটিক জাতির লীলাভূমি। পরবর্তীকালে সেমিটিক জাতি বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাবিলনীয়, অ্যাসিরীয়, পারসিক, ফিনিসীয়, মিসরীয়, হিব্রু বা ইহুদি জাতি বলে প্রসিদ্ধি লাভ করে। ইতিহাসে সেমিটিক জাতি এসব বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও আদিতে কোনো এক সময়ে তারা একই জাতি ছিল এবং একস্থানে বসবাস করত। যিশু খ্রিস্টের জন্মের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে সেমিটিক জাতির একটি শাখা তাদের আদি বাসস্থান পরিত্যাগ করে তাইগ্রিস-ইউফ্রেতিস নদীর উপত্যকায় এসে বসবাস আরম্ভ করে।

সুমেরীয় নামে পরিচিত এক অতি সুসভ্য জাতি পূর্ব থেকেই এ উপত্যকায় বসবাস করত। ফলে সুমেরীয় জাতির সঙ্গে সেমিটিক জাতির মিলনে কালক্রমে সেখানে এক মহাসভ্যতা গড়ে ওঠে। এ সভ্যতা ব্যাবিলনীয় সভ্যতা নামে অবিহিত হয়। এটা অ্যাসিরীয় সভ্যতারও জন্ম দেয়। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ অব্দে সেমিটিক জাতির অন্য একটি শাখা সিরিয়া ও প্যালেস্টাইনে গিয়ে বসবাস করতে থাকে এবং তারা হিব্রু সভ্যতা গড়ে তোলে। সেমিটিকদের অন্য একটি শাখা ভূমধ্যসাগর ও লেবানন পর্বতের মধ্যবর্তী এলাকায় বসতি স্থাপন করে ফিনিসীয় সভ্যতার সূচনা করে।

সর্বশেষ খবর