বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

ইকবাল রোডের হত্যাকাণ্ড

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে সোমবার রাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন এক কলেজ শিক্ষিকা। আহত হয়েছেন তার স্বামী ও দুই কন্যা। শেয়ার মার্কেটে গৃহকর্তার বিনিয়োগকৃত ১৫ কোটি টাকা আত্দসাতের উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পূর্ব পরিচিত ঘাতক ঘটনার আগে গৃহকর্তার জন্মদিনের উপহার হিসেবে কেক ও ফুল নিয়ে হাজির হন। তারপর তিনি হাতুড়ির আঘাতে গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী ও তাদের দুই কন্যাকে হত্যার চেষ্টা চালান। এ সময় গৃহকর্তার দুই কন্যা আহতাবস্থায় ঘাতকের কবল থেকে পালিয়ে শোয়ার ঘরের ছিটকানি দেয় এবং সেখান থেকে আত্দীয়স্বজনের কাছে হামলার ঘটনা জানায়। ঘাতক এ সময় গানপাউডার ছিটিয়ে ড্রইংরুমে আগুন ধরিয়ে দেন। উদ্দেশ্য ছিল সবাইকে পুড়িয়ে মারা। কিন্তু ঘাতক পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই কন্যা তাদের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে আগুন নিভাতে সক্ষম হয়। তারা গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী ও তাদের দুই মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করে। গৃহকর্তা বিআরটিএর উপ-পরিচালক সীতাংশু শেখর বিশ্বাস ও ছোট মেয়ে অদ্রি গুরুতর আহতাবস্থায় মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। বড় মেয়ে শ্রুতি বিশ্বাস অবশ্য আশঙ্কামুক্ত। শ্রুতি বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘাতক তাদের পূর্ব পরিচিত এবং তার নাম জহিরুল ইসলাম। তিনি একজন শেয়ার ব্যবসায়ী। অনুমান করা হচ্ছে, শেয়ার ব্যবসায় নিয়োগকৃত অর্থ আত্দসাতের জন্য পুরো পরিবারকে হত্যার চক্রান্ত এঁটেছিল ঘাতক। টাকার লোভ মানুষকে কতটা বিপথগামী করতে পারে ইকবাল রোডের এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড তারই প্রমাণ। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে বিআরটিএর একজন উপ-পরিচালক শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য ১৫ কোটি টাকা পেলেন কীভাবে? বিআরটিএতে চাকরি করা আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়া সমান কথা বলে যে রটনা রয়েছে এটি কি তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ। ঘটনা যাই হোক আমরা চাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতককে অবিলম্বে খুঁজে বের করে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে।

সর্বশেষ খবর