রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতা

কুরুক্ষেত্র রণাঙ্গনে শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুনের সংলাপের মধ্য দিয়ে যে বাণী বা আদর্শ ব্যক্ত হয়েছে তা-ই পবিত্র ধর্মগ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। বিশ্লেষকরা এখানে অর্জুনকে মানব জাতির প্রতিনিধিত্বকারী ও শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। তাই ঈশ্বররূপী শ্রীকৃষ্ণ মানুষরূপী অর্জুনের উদ্দেশে যে বাণী দিয়েছেন তার সংকলন হচ্ছে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা। ১৮টি অধ্যায় এবং ৭০০ শ্লোকসংবলিত গীতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'গীতা সুগীতা কর্তব্যা কিমন্যৈ শাস্ত্র বিস্তারে/যা স্বয়ং পদ্মনাভস্য মুখপদ্মাদঃ বিনিঃসৃত।' সব শাস্ত্র বেদ, উপনিষদ, সংহিতা, পুরাণ ইত্যাদির সারমর্ম হচ্ছে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা; যা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী এবং এটিই হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাপবিত্র ধর্মগ্রন্থ। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আগে থেকে শুরু করে যুদ্ধকালীন ঘটনা এবং পরবর্তী কিছু বিষয় নিয়ে মহাকাব্য রচিত হলেও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় শুধু রণাঙ্গনে শ্রীকৃষ্ণ ও অর্জুনের মধ্যকার সংলাপই স্থান পেয়েছে। বলা হয়, বৈদিক যুগের শেষে ৬০০-৫০০ খ্রিস্টপূর্বের কোনো একসময় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা সংকলিত হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর