সোমবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা
ধর্ম

জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয়ভাজন হওয়া যায়

মাওলানা মুহম্মদ সাহেব আলী

জিকিরের মাধ্যমে মহান স্রষ্টা আল্লাহর প্রিয়ভাজন হওয়া যায়। পবিত্র কোরআনের আহযাব সূরার ৪১-৪২ আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, 'হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর।'

বান্দার জন্য আল্লাহর ফরজ ইবাদত বাধ্যতামূলক। ফরজ ইবাদতের ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় নেই। তবে আল্লাহর সন্নিধ্য পেতে হলে, মহান স্রষ্টার প্রিয়ভাজন হতে হলে নফল ইবাদতের কোনো বিকল্প নেই। নফল ইবাদতের মাধ্যমে বান্দা অতি সহজেই আল্লাহর কৃপা পেতে পারে। জিকির হলো নফল ইবাদতের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।

আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে বান্দার হৃদয় আল্লাহমুখী হয়। বান্দা আল্লাহমুখী হলে শয়তান তার ধারে-কাছে ঘেঁষতে পারে না। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবের ওপর জেঁকে বসে থাকে। যখন সে আল্লাহকে স্মরণ করে তখনই শয়তান বান্দার কাছ থেকে সরে যায়। আর যখন সে আল্লাহতায়ালা থেকে গাফিল হয়ে যায় তখন শয়তান তার হৃদয়ে ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে। (বুখারি), ক্ষতিকর শয়তানের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হলে আমাদের বেশি বেশি জিকির করতে হবে। আল্লাহ সকাল-সন্ধ্যা তার জিকির করার জন্য বান্দাকে তাগিদ দিয়েছেন। বান্দা সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর জিকির করলে তার হৃদয় সব কালিমা থেকে পরিশুদ্ধ হয়ে যায়। বুঝে কিংবা না বুঝে সে যে গুনাহ করে সে গুনাহ তার হৃদয়কে কালিমাযুক্ত করে। যা থেকে হৃদয়কে পরিশুদ্ধ করার উপায় হলো আল্লাহর জিকির করা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, 'প্রতিটি বস্তু পরিষ্কার করার যন্ত্র রয়েছে। হৃদয়কে পরিষ্কার ও পবিত্র করার যন্ত্র হলো আল্লাহতায়ালার জিকির। আর আল্লাহর আজাব থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর জিকিরের চেয়ে বড় কোনো ইবাদত নেই। (বায়হাকী শরীফ)।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিকিরকে জান্নাতের বাগান বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, 'তোমরা যখন জান্নাতের বাগানগুলোর পাশ দিয়ে যাও তখন সেখানে বেশি করে বিচরণ কর। কেউ আরজ করল ইয়া রসুলুল্লাহ জান্নাতের বাগানগুলো কী? তিনি বলবেন জিকিরের হালকাসমূহ। (আহমদ, তিরমিজি)।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

 

 

সর্বশেষ খবর