শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

সিটি নির্বাচন আজ

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আজ। তিন সিটি করপোরেশনের প্রায় ৬০ লাখ ভোটার আজ তিনজন মেয়র ও ১৭৯ জন কাউন্সিলর পদে ভোট দেবেন। দেশের তিন বৃহত্তর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সাজসাজ রব পড়েছে। স্থানীয় সরকারকে বলা হয় জনগণের সরকার। এ নির্বাচন সমাজের প্রতিটি স্তরে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে তাতে স্থানীয় সরকারের প্রতি এলাকাবাসীর আত্দিক সম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। রাজধানীতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৩ বছর পর। গত আট বছরে এই মহানগরীতে হয় মেয়াদোত্তীর্ণ নতুবা অনির্বাচিত সিটি করপোরেশন কাজ করেছে। এলাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথ ছিল রুদ্ধ। ঢাকা মহানগরীকে প্রায় অচল থেকে সচল নগরীতে পরিণত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত দুই মেয়র এবং শতাধিক কাউন্সিলরকে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে অবশ্য মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনির্বাচিতের অভিশাপ ভোগ করতে হয়নি। স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নির্দলীয় ভিত্তিতে। তার পরও আজকের নির্বাচনে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থনের ওপর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ভাগ্য অনেকাংশ নির্ভর করছে। গত বছরের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জন এবং এ বছরের প্রথম তিন মাস অবরোধ-হরতাল, পেট্রলবোমা ও ককটেল নির্ভর জ্বালাও-পোড়াওয়ের ধ্বংসাত্দক কর্মসূচি পালনের পর নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির পথে ফিরে আসার জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল তিন সিটি নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। অন্যদিকে সরকারি দল পেট্রলবোমা ও ককটেল নির্ভর রাজনীতির উপাসকদের প্রত্যাখ্যান করে উন্নয়ন ও জাতীয় অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার আবেদন জানাচ্ছে। নির্বাচন হলো জনগণের উৎসব। এ উৎসব নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন। আমরা আশা করব জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের যোগ্য নেতৃত্বই উঠে আসবে আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী সব পক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একাট্টা হয়ে কাজ করবে এমনটিও কাম্য।

সর্বশেষ খবর