সোমবার, ২৫ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

দোষ বাংলাদেশের একার নয়

মেজর জেনারেল মো. আবদুর রশীদ (অব.)

দোষ বাংলাদেশের একার নয়

নৌকায় সমুদ্রযাত্রার চেষ্টায় কয়েক হাজার মানুষ ভাসছে আন্দামান সাগরে। নারী, পুরুষ ও শিশুদের গাদাগাদি করে নৌকায় তোলা হয়েছে, আশা দেওয়া হয়েছে মালয়েশিয়ায় নিয়ে কাজ দেবে, ভালো মজুরি থেকে দারিদ্র্য ঘুচবে। সম্ভাবনাময় নতুন জীবনের স্বপ্ন নিয়ে বিপদসঙ্কুল সমুদ্রযাত্রাকে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও কিছু বাংলাদেশের মানুষ, মৃত্যুভয়কে জয় করে এগুনো মানুষগুলো এখন মহা দুর্বিপাকে, মৃত্যুফাঁদে আটকা পড়া অসহায় মানুষগুলো বাঁচার আকুতি নিয়ে তাকিয়ে আছে বিশ্ব মানবতার দিকে। উবে যাওয়া স্বপ্ন নিয়ে ছটফট করছে বাঁচার উপায়ের খোঁজে। জাতিসংঘের শরণার্থী হাইকমিশনারের রিপোর্ট বলছে গত বছরে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পাচার হয়েছে, মারা গেছে ৭৫০ জন। বছরের প্রথম তিন মাসে মানব পাচারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার এবং তাদের মধ্যে ৩০০ জন জীবন হারিয়েছে পথিমধ্যে। এখন প্রায় আট হাজার মানুষ নৌকায় ভাসছে আন্দামান সাগরে। মালয়েশিয়ায় অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদাকে পুঁজি করে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র মিয়ানমার ও বাংলাদেশের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে স্বপ্ন বিক্রি করে ঠেলে দেয় সমুদ্রযাত্রায়। স্বল্প জনসংখ্যার এ দেশটিতে গৃহকর্মী, শিল্প, নির্মাণ ও কৃষিতে রয়েছে অনেক শ্রম চাহিদা। কোম্পানিগুলো নূ্যনতম অধিকারবঞ্চিত করে অবৈধ অভিবাসীদের কাজে লাগায় অনেক কম মজুরি দিয়ে, খাটায় অনেক বেশি ঘণ্টা। অবৈধ অভিবাসন রোধ করতে সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে ২৫-৩০ হাজার টাকা দিয়ে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি থাকলেও বৈধভাবে গমনের সংখ্যা ছিল নগণ্য। মালয়েশিয়ার শ্রমিক চাহিদা উবে যায়নি, ঘাটতি পূরণ করেছে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের অবৈধ অভিবাসন।

অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচারের সংঘবদ্ধ চক্র থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। দেশ দুটির প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনৈতিক সম্পৃক্ততা অপরাধ চক্রকে বেপরোয়া করেছে। তবে থাই প্রধানমন্ত্রীর মানব পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ফলে পুলিশের চিরুনি অভিযান এড়াতে থাই-মালয়েশিয়া সীমানার গভীর অরণ্যে লুকিয়ে রাখা মানুষগুলোকে একসঙ্গে নৌকায় উঠিয়ে সমুদ্রে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিবাসন সংকট আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে। সঙ্গে বেরিয়ে আসছে অত্যাচার, নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ ও অঙ্গ অপসারণের মতো অনেক লোমহর্ষক নিদারুণ কাহিনী।

আন্দামান সাগরে অগণিত নৌকায় ভাসা হাজার হাজার মানুষ মরণের চারপাশে ঘুরতে থাকায় সচকিত হয়েছে বাংলাদেশসহ উপকূলবর্তী দেশগুলো। জাতিসংঘের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ঘুম ভাঙতে শুরু করেছে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া আন্তর্জাতিক শরণার্থী সনদ ও মানবাধিকারের প্রতি পাশ কাটানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সারা বিশ্বের তীব্র নিন্দার মুখে পড়ে নিজেদের অবস্থান কিছুটা পরিবর্তন করেছে। সাগরে ভাসমান অভিবাসীদের সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘুম হারাম হয়েছে পরিস্থিতির সুরাহা খুঁজতে। জাতিসংঘের শরণার্থী হাইকমিশনারের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পাচার হওয়া মানুষের ৪০ থেকে ৬০ ভাগ হচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা; কিন্তু মিয়ানমার সরকার সাফ জানিয়েছে তাদের কোনো দায় নেই। সুরাহা খোঁজার আঞ্চলিক উদ্যোগ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এই মানবিক বিপর্যয়ের দায়ভার কার ওপর বর্তাবে? নৌকায় ভাসতে থাকা মানুষগুলোকে রক্ষা করবে কে? পাচার হওয়া মানুষগুলোর অবৈধ সমুদ্রযাত্রা দেশীয় আইনের চোখে অপরাধ। কিন্তু তার চেয়েও বড় অপরাধী যারা নিরীহ মানুষগুলোর সরলতাকে পুঁজি করে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে। সমুদ্রযাত্রার উৎস বাংলাদেশ হলেও সমস্যার মূল শিকড় মিয়ানমারে। তবুও বাংলাদেশকে বিব্রত হতে হচ্ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং দেশের জনমনে প্রতিক্রিয়া হচ্ছে সরকারের ভূমিকার কার্যকারিতা নিয়ে। ভাসমান মানুষ উদ্ধারে যতই বিলম্ব্ব হচ্ছে ততবেশি মানুষ পরপারে চলে যাচ্ছে। তাই শেষ সমাধান যাই হোক না কেন মানুষ বাঁচানোই হচ্ছে সময়ের বড় তাগিদ। প্রবাস থেকে বছরে আসা ১৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের অর্থনীতি ও দেশের উন্নয়নে প্রত্যক্ষ অবদান রেখে চলেছে। মানব পাচারের উৎস হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরে দেশের ভাবমূর্তি নেতিবাচক করার আন্তর্জাতিক চক্রান্তকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। অভিবাসন ও মানব পাচার বিশ্বের প্রায় সব দেশের সমস্যা। দক্ষিণ এশিয়াকে মুখ্য এলাকা ধরা না হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অনেক আগে থেকেই সুপরিচিত। মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে মানব পাচার চক্র যেমন সক্রিয় তেমনি মাদক তৈরি ও মাদক পাচারেও প্রসিদ্ধ। আফগানিস্তানের পরেই বিশ্বের অপিয়াম উৎপাদনে গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেলের অবস্থান মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও লাওস সীমান্তে। বাংলাদেশে এই অঞ্চল থেকেই পাচার হয়ে আসে মানববিধ্বংসী ইয়াবা ট্যাবলেট।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের নিপীড়ন ও নাগরিক অধিকারের বঞ্চনা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানব পাচারকে সবচেয়ে বেশি বেগবান করেছে। মিয়ানমারের পশ্চিমে বাংলাদেশ সীমানাসংলগ্ন রাখাইন রাজ্যে মুসলিম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বসবাস শত শত বছর ধরে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না, বাঙালি বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে ১২ লাখ রাষ্ট্রবিহীন মানুষের জটিল মানবিক সমস্যা। জমির মালিকানা নেই, বাঁচার নিরাপত্তা নেই, শিক্ষার অধিকার নেই, আইনের সুরক্ষা না থাকায় রোহিঙ্গারা বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও বেপরোয়া জনগোষ্ঠী। ইসলামী উগ্রবাদীদের সচেষ্ট দেখা গেছে জিহাদি মতাদর্শে দীক্ষিত করে জঙ্গি বানিয়ে বিশ্বে পাচার করতে। বিচ্ছিন্নতার সশস্ত্র সংগ্রামের কারণে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার সরকারের আস্থায় যেতে সক্ষম হয়নি। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে অনেক রোহিঙ্গা পরিবার মিশে গেছে মানুষের মধ্যে। বাংলাদেশি হিসেবে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে বেপরোয়া আচরণ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে কালিমা লাগিয়েছে। ধর্মান্ধতা, জিহাদি মতাদর্শের প্রভাব বেশি থাকায় অনেক দেশ নিরাপত্তার বিবেচনায় তাদের জায়গা দিতে সঙ্কোচ করে।

মিয়ানমারকে মানব পাচারের অন্যতম উৎস ও ট্রানজিট দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সামরিক বাহিনীও মানব ও মাদক পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। থাইল্যান্ডকে চিহ্নিত করা হয়েছে উৎস, ট্রানজিট ও ব্যবহারকারী হিসেবে। পাচার করা নারী-শিশুদের যৌনকর্মী বানাতে যেমন সিদ্ধ ঠিক তেমনি মাছধরা কোম্পানিগুলোতে দাস শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করতেও অভ্যস্ত। এ ছাড়াও গৃহকর্মী ও পোশাক কারখানাগুলোতে পাচারকৃত শ্রমিকদের কোনোরকম অধিকার ছাড়া ব্যবহার করা হয় দাস হিসেবে।

বাংলাদেশের উপকূল থেকে নৌকায় গাদাগাদি করে মানুষ ভর্তি করে মাছধরা ট্রলার যাত্রা করে মিয়ানমার কূলঘেঁষে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের রানং এলাকায় ভিড়ে। সেখান থেকে ট্রাকে ভরে দিনভর চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী সঙ্খলা প্রদেশের গভীর অরণ্যের ঘাঁটিতে। সেখান থেকে সুযোগ বুঝে ঢোকানো হয় মালয়েশিয়ায়। রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের পাচারের ক্ষেত্রে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড বড় ভূমিকা রাখে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে মানব পাচার। মুক্তিপণ আদায় করার জন্য এসব ক্যাম্পে আটকে রাখা হয় এবং মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সমুদ্রে মাছধরা কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়। থাইল্যান্ডে সমুদ্রে মাছধরা শ্রমিকের দুষ্প্রাপ্যতার জন্য কোম্পানিগুলো অনৈতিকভাবে শ্রমিক সংগ্রহ করে শিল্পকে চালু রেখেছে। অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এসব মাছ কোম্পানির ক্রেতা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বড় বড় নামকরা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের রানাপ্লাজা ধসের পর তৈরি পোশাক ক্রেতা কোম্পানিগুলো শ্রম অধিকারের নামে লাফঝাঁপ দেখালেও থাই মাছ কোম্পানির শ্রমিকের দাসত্ব তাদের চোখে পড়ে না। মানব পাচার কোনো একদেশীয় বিষয় নয় এবং এক দেশের পক্ষে রোধ করা সম্ভব নয় বলে আন্তর্জাতিক আইনের সুরক্ষা ও নজরদারির প্রয়োজন। বাংলাদেশকে জড়িয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রচারণা সমস্যার আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দায়িত্বকে হালকা করছে, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় নিপীড়নকে এড়িয়ে যেতে সাহায্য করছে যেখান থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা আন্তর্জাতিক দালাল চক্রের যন্ত্রণায় নৌকায় চড়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে নৌকায় চড়া মানুষগুলোর পেছনে অনেক কারণ কাজ করেছে। দারিদ্র্যের হার কমলেও সিডর, আইলা ও নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে অভ্যন্তরীণ শরণার্থীর একটা বড় অংশকে সুখ-স্বপ্নের আশায় নৌকায় চড়তে দেখা যায়। এদের মধ্যে ৪১টি জেলার লোককে শনাক্ত করা হলেও উপকূলীয় ও নদীভাঙন এলাকার প্রাধান্য দেখা যায়। দালালদের প্রলুব্ধকরণ ছাড়াও পরিচিতজনের অবৈধ পন্থায় গন্তব্যে পৌঁছে কপাল খোলার সংবাদ অথবা প্রবাসী আত্দীয়ের উৎসাহ জোগানোর দৃষ্টান্ত রয়েছে অনেক। দেশ ও বিদেশের মজুরির পার্থক্য নাকের সামনে মুলা ঝুলিয়েছে অনেকের। দেশে সৃষ্ট কর্মসংস্থান এবং শ্রমবাজারে নতুন মুখের আগমনের মধ্যে এখনো ভারসাম্য সৃষ্টি না হওয়াই বেকারত্ব থেকে দ্রুত মুক্তির আশায় অনেকেই বেছে নেয় অবৈধ অভিবাসন। বিভিন্নভাবে লোভ দেখিয়ে বা বিভিন্ন বাহানায় নৌকায় চড়াতে না পারলে জোর করে বাধ্য করার ঘটনা অনেক শোনা যাচ্ছে। অপরাধ চক্রের সঙ্গে স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তা ও প্রশাসনের সুসম্পর্ক সবচেয়ে বড় হুমকির সৃষ্টি করেছে। রাজনীতিতে কালো টাকা ছড়িয়ে সুরক্ষা প্রাপ্তির কৌশল দৃশ্যমান। এই চক্রের ব্যাপ্তি দেশের সীমান্ত অতিক্রম করে অনেক দেশকে জড়িয়ে ফেলেছে। ফলে মানব পাচারের শিকার মানুষগুলো মুখ খুলতে পারে না ভয়ে।

মানব পাচারের ভুক্তভোগীদের কোনো আইনি সুরক্ষা যেমন নিশ্চিত করা হয়নি তেমনি সাক্ষীদের আইনি সুরক্ষা শক্ত নয়। ভুক্তভোগীদের মানব পাচারকারীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের কোনো আইনি বিধান নেই। মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে সমুদ্র দিয়ে মানব পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েছে উপকূলঘেঁষা বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র পাঁচটি দেশেই কমবেশি সক্রিয়। পাচারের জন্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মূল উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হলেও মালয়েশিয়ায় বেশি গ্রহণযোগ্যতার কারণে বাংলাদেশিদের প্রলুব্ধ করে যোগ করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে অপরাধ চক্রকে ভেঙে বিচারের মুখোমুখি না করতে পারলে ভবিষ্যতে মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়বে। বৈধ অভিবাসনের পথকে খোলা, সুলভ ও স্বচ্ছ রাখতে হবে সব দেশকেই। অভিবাসন আইন ও শ্রমিক অধিকারের আইনি নিশ্চয়তা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব দেশকেই একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আঞ্চলিক সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আন্তরিকতা থেকে উত্থিত হবে সমাধান। দেশীয় সক্রিয়তা, আঞ্চলিক সমঝোতা, বৈশ্বিক সহযোগিতার মধ্যে পাওয়া যাবে শেষ সুরাহা।

লেখক : স্ট্রাটেজি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক। ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল' অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিসের (আই ক্লডস) নির্বাহী পরিচালক।

 

সর্বশেষ খবর