শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক

উপ-প্রধানমন্ত্রী ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালী নেত্রী লিও ইয়ানদংয়ের বাংলাদেশ সফরকে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও নিবিড়করণের উদ্যোগ হিসেবে মূল্যায়ন করা যায়। চীনা নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বন্ধু দেশটির সহযোগিতা চেয়েছেন। চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্থানের লক্ষ্য পূরণে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। দুই নেত্রীর বৈঠকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফররত চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে চীনা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, বাংলাদেশ প্রস্তাবিত চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের জন্য চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৭৭৪ একর জমি বরাদ্দ করেছে। একই এলাকায় চীনের একটি বেসরকারি কোম্পানির ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠায় আরও ৫০৪ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী কৃষিখাতে যৌথ গবেষণা ও প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ থেকে তরুণ বিজ্ঞানীদের চীনে আমন্ত্রণ জানানোসহ বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাগার স্থাপনের প্রস্তাব দেন। ছয় বছর ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছয় শতাংশের ওপরে থাকার প্রশংসা করে চীনা উপ-প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ আরও উন্নতি করতে সক্ষম হবে। চলতি বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪০তম বার্ষিকী উদযাপন করা হবে এবং এর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীনা নেত্রীর বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ছয়টি সমঝোতা স্মারক ও সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক শক্তি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়ার এ অঞ্চলের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য এ সম্পর্ক যেমন অবদান রাখছে তেমনি দ্রুত উন্নয়নের চীনা কৌশল বাংলাদেশকেও উন্নয়নের ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর