মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
ভেষজ

যক্ষ্মা

বর্তমানে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা দিন দিন আমাদের দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার যক্ষ্মার জীবাণুকে করে তুলছে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট। যক্ষ্মা রোগের প্রধান প্রধান উপসর্গগুলো হলো- তিন সপ্তাহের অধিক সময় ধরে কাশি * কাশির সঙ্গে কফ বের হওয়া * মাঝে মাঝে কফের সঙ্গে রক্ত পড়া * শরীরের ওজন কমে যাওয়া * খাদ্যে অরুচি * জ্বর থাকা বিশেষ করে রাতের বেলা * অতিরিক্ত শারীরিক দুর্বলতা। এ রোগে আক্রান্ত রোগীকে সঠিক মাত্রায় ও নিয়মে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়াতে হবে এবং শারীরিক দুর্বলতা প্রতিরোধে নিয়মিত ভিটামিন, খনিজ লবণ ও খাদ্যশক্তিযুক্ত খাদ্য ও পথ্য খাওয়াতে হবে। প্রতিদিন ৮-১২ কোয়া রসুন যক্ষ্মা রোগের জীবাণু বৃদ্ধি প্রতিরোধে অধিকতর কার্যকর। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে সঠিক রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের যথেষ্ট অভাব রয়েছে এবং একই সঙ্গে রোগ নিরাময় কেন্দ্রের খরচও অনেক। যে দেশের বেশির ভাগ মানুষ গরিব এবং তিনবেলা খাবার জোটানোই তাদের জন্য কষ্টকর তাদের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের খরচ জোগানো অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে উপসর্গ দেখে রোগের প্রাথমিক নির্ণয় একটি কার্যকর পদ্ধতি। এ সম্পর্কে আমাদের সবার সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন।

-ডা. আলমগীর মতি।

সর্বশেষ খবর