বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

হাইকোর্টের রুল

রাজধানীতে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে এক গারো তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা নিতে বিলম্ব করাকে কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাঁচটি মানবাধিকার সংগঠনের রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দর বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে মামলা নিতে অবহেলার জন্য পুলিশের যেসব সদস্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- তা তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে জানাতে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজি ও ডিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলা নিতে বিলম্বের জন্য দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে কেন শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- সে সম্পর্কেও দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনার, উত্তরা, খিলক্ষেত, গুলশান ও ভাটারার ওসিকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত জানতে চেয়েছেন- ধর্ষিতাকে কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। রুল জারির নির্দেশনায় থানায় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও জন্ম পরিচয় নির্বিশেষে বৈষম্যহীনভাবে সবার সেবা নিশ্চিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনারকে সার্কুলার জারির নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে যৌন হয়রানি রোধে বিদ্যমান আইন ও প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, আইনজীবী ও নারী অধিকার কর্মীদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে রিট আবেদনকারীদের কাছে ৩১ মের মধ্যে নামের তালিকা চেয়েছেন আদালত। স্মর্তব্য, ২১ মে রাতে কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষারত এক তরুণীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে কতিপয় যুবক। জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টিকারী এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নারীপক্ষ, মহিলা পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং ব্লাস্ট রবিবার হাইকোর্টে রিট করলে আদালত তাৎপর্যপূর্ণ ওই নির্দেশ দেন। আমরা আশা করব, আদালতের নির্দেশনা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং নারীর সম্ভ্রমের নিরাপত্তা বিধানে অবদান রাখবে।

সর্বশেষ খবর