বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

রমজান প্রস্তুতি

রমজান মাসে অসৎ ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজরা প্রতি বছরই তৎপর হয়ে ওঠে। এ বিষয়টি মনে রেখে রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে সরকার। রমজানে ব্যবসায়ীদের একাংশের তাদের লুটেরা মনোভাবের কারণে যুক্তিগ্রাহ্য কারণ না থাকলেও বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। রোজার মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রতিটি সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এ সময়ে বেশকিছু নিত্যপণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পূর্ব প্রস্তুতি এবার দৃশ্যত বেশ ভালো। ছোলা, চিনি, তেল, খেজুর, ডালসহ যেসব পণ্যের ব্যবহার রোজায় বেড়ে যায়, তা চাহিদার চেয়ে বেশি আমদানি করা হয়েছে। তারপরও ব্যবসায়ীদের মুনাফাখোরি মনোভাব এবং পরিবহন চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য কারণে নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাজারে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও মুনাফাখোরদের অপতৎপরতা মূল্যবৃদ্ধির কারণ ঘটায়। রোজার প্রাক্কালে কোনো কোনো নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। বেড়েছে চিনি, আদা, খেজুর ইত্যাদি নিত্যপণ্যের দাম। পিয়াজের ঝাঁজেও ক্রেতারা দিশাহারা। গত ছয় বছরে রোজা উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার মোটামুটি সফলতার পরিচয় দিয়েছে। এবারও এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। এই পবিত্র মাসে রোজাদাররা ভোগান্তির সম্মুখীন হলে তাদের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পায়। সে কারণে রোজাদারদের দুর্ভোগ বাড়িয়ে যারা ব্যবসা করার চক্রান্ত করছে তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। বাজার মনিটরিংয়ে হতে হবে আরও বেশি সক্রিয়। বিশেষ করে পিয়াজ, ছোলা, চিনি, ডাল, খেজুর ও ভোজ্যতেলের কৃত্রিম সংকট যাতে দানা বেঁধে না ওঠে সে ব্যাপারে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারি উদ্যোগে রোজা উপলক্ষে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। মাহে রমজানে চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে সরবরাহ সচল রাখা সরকারের অবশ্য পালনীয় কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ পরিবহন চাঁদাবাজি। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। আমাদের বিশ্বাস, এ কর্তব্য পালনে সরকার তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালাবে।

সর্বশেষ খবর