বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত

ভেজাল ওষুধের কবল থেকে রক্ষা পাক মানুষ

সংসদীয় কমিটি ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী সব ওষুধ কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া যেসব ফার্মেসি ওষুধ বিক্রি করছে তাদের নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশেরও সুপারিশ করেছেন তারা। ভেজাল ওষুধ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্দক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যেসব খাতে দ্রুত অগ্রগতি লাভ করেছে ওষুধ খাত তারই একটি। স্বাধীনতার আগে বেশিরভাগ ওষুধের ক্ষেত্রে দেশ ছিল পরনির্ভরশীল। এখন গুটিকয়েক ওষুধ বাদে বাংলাদেশে প্রায় সব ধরনের ওষুধ তৈরি হচ্ছে। এ দেশের ওষুধ ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতেও রপ্তানি হচ্ছে। মানসম্মত ওষুধ তৈরিতে বাংলাদেশের সাফল্য প্রশংসার দাবিদার হলেও দেশের ওষুধ বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে আছে নকল ভেজাল ওষুধ- এ অভিযোগে মাঝে মাঝে নকল ভেজালকারীদের গ্রেফতার করা হলেও আইনের ফাঁক-ফোকরে অপরাধীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাস্তির হাত থেকে রক্ষা পায়। অপরাধীদের আর্থিক সামর্থ্যের কারণে তারা উৎকোচ দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় এমন অভিযোগও ওপেন সিক্রেট। মানুষ জীবন রক্ষা বা রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ ব্যবহার করে। নকল ভেজাল ওষুধ রোগ নিরাময়ে তো কোনো অবদান রাখেই না বরং তা মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। নকল ভেজাল ওষুধের কারণে জীবনহানির ঘটনাও অহরহ ঘটে। এটি একটি অপরাধ। এ অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া দরকার। সে অর্থে সংশ্লিষ্ট ওষুধ তৈরির কোম্পানি শুধু বন্ধই নয়, এর সঙ্গে জড়িতদেরও দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়া দরকার। নকল ভেজাল ওষুধের পাশাপাশি যে সব কোম্পানি মানহীন ওষুধ তৈরিতে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবতে হবে। ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশের যে সুনাম গড়ে উঠেছে তা অক্ষুণ্ন রাখতে কঠোর মনোভাব পোষণ করতে হবে। আমরা আশা করব সংসদীয় কমিটির সুপারিশ মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে ফাইল চাপা পড়ে থাকবে না। ভেজাল ওষুধের কবল থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে সুপারিশগুলো কার্যকর করার ক্ষেত্রেও উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর