বুধবার, ১ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিনিয়োগকারীদের হয়রানি

দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক

সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি দুনিয়াজুড়ে প্রশংসিত। বলা হয় বাংলাদেশের মতো উদার বিনিয়োগ নীতি খুব কম দেশেই আছে। বিনিয়োগের সব পূর্বশর্তও বাংলাদেশে উপস্থিত। বাংলাদেশে রয়েছে সস্তা শ্রম। ১৬ কোটি মানুষের এ দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারও বেশ বড়সড়। বাংলাদেশের অবস্থানও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সমানভাবে আকর্ষণীয়। বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী ভারত পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ চীনও বাংলাদেশের নিকট প্রতিবেশী। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো সস্তা শ্রম। একদিকে বিনিয়োগবান্ধব নীতি অন্যদিকে সস্তা শ্রম এ দুই মহা সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে। এমনকি দেশি বিনিয়োগকারীরাও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিরক্তিবোধ করেন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। কারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতি মুহূর্তেই নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরায় সরকারের বিভিন্ন দফতর। উৎকোচ আদায়ের জন্য হয়রানির মধ্যে ফেলা হয় বিনিয়োগকারীদের। তাদের অবস্থা দাঁড়ায় ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মতো। যেমনটি ঘটেছে চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডের কোরীয় বিনিয়োগকারী এবং অতি সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের বিশ্বখ্যাত চেইন সপ মোস্তফা মার্টের ক্ষেত্রে। মোস্তফা মার্টের গার্মেন্ট ও খাদ্যপণ্যবাহী ছয়টি কনটেইনার আড়াই মাস ধরে আটকে রয়েছে কমলাপুর আইসিডিতে। কয়েক কোটি টাকার এসব পণ্য খালাসের জন্য মোস্তফা মার্ট কর্তৃপক্ষ কাস্টমস কমিশনার কার্যালয়ে বার বার তাগাদা দিলেও কাজ হয়নি। ফলে আমদানিকৃত মালামাল কন্টেইনারেই নষ্ট হচ্ছে। মোস্তফা মার্ট কর্তৃপক্ষ অবস্থাদৃষ্টে বাংলাদেশ থেকে তাদের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের কথা ভাবছে। নিয়ম অনুযায়ী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করার কথা থাকলেও তা না মেনে মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে তাদের হয়রানির চেষ্টা করায় বিশ্বখ্যাত এ প্রতিষ্ঠানটি হতাশ হয়ে পড়েছে। আমরা আশা করব, বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে কোরিয়ান বিনিয়োগকারী এবং সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্টের হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হবে। দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত সাজা দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর