বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
বিচিত্রিতা

কাসীদা

একটি আরবি শব্দ। এর উৎপত্তি হয়েছে 'কাসদ' শব্দমূল থেকে। এর অর্থ নিরেট ও পরিপূর্ণ, মস্তিষ্ক বা মজ্জা। কাসদ-এর আরও একটি অর্থ ইচ্ছা করা। যে কবিতায় প্রিয়জনের প্রশংসা বর্ণনা করা হয়, পরিভাষায় সে কবিতাকে কাসীদা বলা হয়। তবে কাসীদার বিষয়বস্তুর পরিধি অনেক বিস্তৃত। এতে থাকে সৌন্দর্য ও প্রেম, সময়ের উত্থান-পতন, বসন্ত ও উদ্যান, নৈতিকতা ও জ্ঞান, দোয়া প্রভৃতি। আর যারা কাসীদা বলতে নিরেট বা মস্তিষ্ক বলে মনে করেন, তাদের মতে কবি তার নিজ বক্তব্যকে বিশেষ এক পদ্ধতিতে কবিতায় উপস্থাপন করেন, অথবা তার কবিতায় তিনি ব্যাপকভাবে পূর্ণাঙ্গ বিষয়বস্তুর অবতারণা করেন। কাসীদা প্রধানত প্রিয়জনের প্রশংসা বর্ণিত হলেও এর মাধ্যমে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ প্রকাশ পায়। কাসীদা প্রথম দেখা যায় আরবি কাব্যে। প্রাগ-ইসলাম যুগে আরব কবিরা এর সূচনা করেছিলেন। কাসীদায় তিনটি অংশ বা স্তর থাকে। যথা-  প্রথম অংশে নাসবী বা প্রণয়মূলক মুখবন্ধ থাকে। দ্বিতীয় অংশে থাকে যাদের সম্পর্কে তিনি প্রশংসা করতে চান তাদের প্রতি কবির বক্তব্য। শেষ অংশে কবির ঈপ্সিত ব্যক্তি বা গোত্রের প্রশংসা কিংবা নিন্দা স্থান পায়। এ স্তরে কোনো কোনো কবি নৈতিক কোনো শিক্ষার অবতারণা করে কবিতা শেষ করেন। কাসীদা আরবি কাব্য থেকে অন্যান্য ভাষায় বিস্তার লাভ করে। ফলে কাসীদা সম্প্রতি ফারসি, তুর্কি ও উর্দু ভাষায় নিজ নিজ পারিপার্শ্বিকতা অনুযায়ী রচিত হয় এবং বিভিন্ন ধারায় বিকাশ লাভ করে।

- শাকিল জাহান।

 

সর্বশেষ খবর