শনিবার, ১১ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইতিহাস

জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা

সামগ্রিকভাবে মামলুক রাজত্ব মিসরের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করে। ইসলামের ইতিহাসে মামলুক বংশের অবদান অনস্বীকার্য। তারা মঙ্গলদের আক্রমণ প্রতিহত করে সিরিয়া ও মিসরকে শুধু ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষাই করেনি, বরং সংস্কৃতি ও সভ্যতা অব্যাহত রাখে। ক্রুসেডারদের বিতাড়িত করে ইসলামের আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। পক্ষান্তরে শান্তি ও শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে। এর ফলে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা, শিল্পকলা, সাহিত্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হয়। অষ্টম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত মুসলমানরা আব্বাসীয় যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে যে প্রাধান্য বিস্তার করে তা মামলুকদের রাজত্বে স্তিমিত হলেও এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে আবররা জ্যোতিষশাস্ত্র, (ত্রিকোণমিতিসহ) এবং চিকিৎসাশাস্ত্র, বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দান করে। প্রথমটিতে আরবি ভাষায় দক্ষ পারসিক বিজ্ঞানীরা ইলখানি আমলে মারাগায় নাসিরুদ্দিন তুসির নেতৃত্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানে অবদান রাখেন। সিরীয়-মিসরীয় মামলুক রাজ্যে চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রভূত উৎকর্ষ সাধিত হয়।

সর্বশেষ খবর