শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া

জনজীবনকে স্থবির করে ফেলেছে

টানা দুই সপ্তাহের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া সারা দেশের জনজীবনকে প্রায় স্থবির করে দিয়েছে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাত হানার ঘটনা। এর ফলে দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। প্লাবনের শিকার হয়েছে দ্বীপাঞ্চল। টানা বর্ষণে দেশের দুই প্রধান নগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের একাংশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা, বরিশাল ও সিলেটের কোনো কোনো এলাকাও জলাবদ্ধতার শিকার। এ পাঁচ মহানগরীর নাগরিক জীবন বিঘি্নত হচ্ছে টানা বর্ষণ ও জলাবদ্ধতার কোপানলে। জলাবদ্ধতার জন্য যানজটও প্রকট হয়ে উঠছে। জলজট ও যানজটে নাকাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে আরও জোরালো করে তুলেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় কোমেনের আঘাত। ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় এলাকায় অন্তত ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ধ্বংস হয়েছে শত শত ঘরবাড়ি ও গাছপালা। একই সময়ে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলও পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলেছে। টানা বৃষ্টি, সাগরের জোয়ার আর পাহাড়ি ঢলে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারের তিন লাখ মানুষ এখন পানিবন্দী। সাগরে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল এবং দ্বীপাঞ্চলের এক অংশ এখন পানির নিচে। ফেনী, কুমিল্লা, পটুয়াখালীতে বন্যা আঘাত হেনেছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সবজির দাম হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। এর ফলে জনজীবনের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেশের দরিদ্র মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে জলবন্দীরা এ মুহূর্তে খাদ্য ও পানির অভাবে ভুগছেন। তাদের দিকে সরকার এবং সমাজের সম্পন্ন মানুষের সহায়তার হাত বাড়ানো দরকার।

 

সর্বশেষ খবর