শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা
ধর্ম

শাওয়ালের ফজিলত

হাফেজ মাও. মুফতি এহসানুল হক

অফুরন্ত রহমত, বরকতের মাস রমজানুল মোবারক আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু রেখে গেছে তার মহান শিক্ষা। ১১টি মাস যা অনুসরণ করে মানুষ হই ও পরকালীন কল্যাণ লাভ করতে পারি। তার শিক্ষাসমূহের অন্যতম হলো ধৈর্য ও সহমর্মিতা। মানুষ যখন ধৈর্য ও সহমর্মিতা অবলম্বন করে তখন তার দ্বারা সমাজে আর কোনো অশান্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে না যার ফলে মানুষ সুখ-শান্তিতে বসবাস করতে পারে এবং প্রশান্তচিত্তে মন ভরে আল্লাহকে ডাকতে পারে। তার ইবাদত করতে পারে। তাই এ মাস থেকেই আমাদের প্রত্যয় হবে রমজানের মহান শিক্ষা বাস্তবায়ন করে আমাদের সুন্দর জীবন ও সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা। ১১টি মাস আমরা এ শিক্ষার অনুশীলন করতে থাকব। তা হলেই রমজানের উদ্দেশ্য সফল হবে। রমজানুল মোবারক বিদায় নিয়ে শাওয়াল মাস আমাদের দ্বারপ্রান্তে হাজির হয়েছে। এ মাসে রসুলুল্লাহ (সা.) নিজে গুরুত্বের সঙ্গে নফল রোজা রেখেছেন এবং উম্মতকেও তার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি এ মাসের রোজার ফজিলত বর্ণনা করে বলেন, 'যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা রাখল এরপর শাওয়াল মাসে তার অনুসরণে আরও ছয়টি রোজা রাখল সে যেন পূর্ণ এক বছর রোজা রাখল।' উলামায়ে কিরাম এর ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, একটি নেকির কাজ করলে তার বিনিময়ে দশটি নেকি পাওয়া যাবে। যেমন মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : 'কেউ কোনো সৎ কাজ করলে সে তার দশগুণ পাবে' (সূরা আন'আম ১৬০)। সুতরাং রমজানের ৩০টি রোজার বিনিময়ে সে প্রাপ্ত হবে ৩০০টি রোজা। আর শাওয়ালের ছয়টি রোজার বিনিময়ে প্রাপ্ত হবে ৬০টি রোজা। মোট হলো ৩৬০টি রোজা। এভাবে চান্দ্র বর্ষ হিসেবে এক বছর পূর্ণ হয়। আসুন এ সুবর্ণ সুযোগ লাভে আমরা প্রতিযোগিতার সঙ্গে অগ্রসর হই। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমিন!

লেখক : পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকা।

 

সর্বশেষ খবর