মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

পোশাক রপ্তানির স্বপ্নকল্প

দেশের ভাবমূর্তির প্রশ্নটিও জড়িত

বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে ২০২১ সালে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে স্মরণীয় ও অর্থবহ করে তুলতে সরকার যেসব স্বপ্নকল্প পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা। এ সময়ের মধ্যে দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। পোশাক তৈরিতে বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হলেও তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হলে সরকারকে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে। সরকারের এ স্বপ্নকল্প পূরণে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ সর্বাত্দক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। তারা তৈরি পোশাক রপ্তানি বাবদ ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় কীভাবে সম্ভব হবে সে বিষয়ে সরকারকে একটি রোডম্যাপ দেওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছে। চট্টগ্রামের হোটেল র্যাডিসন ব্লুতে আগামী ৬ থেকে ৮ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য তিন দিনব্যাপী 'বাংলাদেশ অ্যাপারেল অ্যান্ড এঙ্পো-২০১৫' শীর্ষক প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেছেন, দেশের আমদানি-রপ্তানির ৯৫ শতাংশই আসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই এবারকার প্রদর্শনীটি চট্টগ্রামে আয়োজন করা হয়েছে। কী কী উদ্যোগ নেওয়া হলে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব তা লিখিতভাবে এই প্রদর্শনীতে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। স্মর্তব্য, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ৬ আগস্ট এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের দ্য ট্রেড মনিটরিং গ্রুপ অব সাউথ এশিয়ার চেয়ারপারসন সাজ্জাদ কারিম। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, দেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে এ মুহূর্তের প্রধান বাধা জ্বালানি সমস্যা। জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ কঠিন হবে না। এ লক্ষ্য পূরণে রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের ভাবমূর্তির যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতির বক্তব্য প্রাসঙ্গিকতার দাবিদার। আগামী ছয় বছরের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এবং রপ্তানি আয়ের লক্ষণীয় অগ্রগতির স্বার্থে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর