শিরোনাম
বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

পিয়াজের বাজারে ঝাঁজ

সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে

দেশে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ পিয়াজ উৎপাদন ও পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ নিত্যপণ্যটির দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হওয়ায় কৃষক পিয়াজের ন্যায্যমূল্য পাবেন কিনা তা নিয়ে শঙ্কাও কম ছিল না। কিন্তু চাষিদের কাছ থেকে পিয়াজ মজুদদারদের হাতে যাওয়ার পর এ নিত্যপণ্যের হালহকিকত পাল্টে যায়। ভারতে এ বছর পিয়াজ কম উৎপাদন হওয়ায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে এর দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে পড়ে। ফলে বাংলাদেশে ভারত থেকে যে পিয়াজ আমদানি করা হয়, তার মূল্যও গত বছরের তুলনায় বেড়ে যায়। ভারত থেকে আমদানি করা পিয়াজের দাম যেহেতু বেশি এই অজুহাতে দেশীয় মজুদদাররা তাদের পিয়াজের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় এ ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় অস্থিরতা। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হানে টানা বৃষ্টিপাত। বর্তমানে বাজারে পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। ব্যবসায়ীদের যুক্তি, টানা বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার ফলে পিয়াজের দাম অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের মতে, দক্ষিণ ভারতের পিয়াজ বাজারে উঠলে সে দেশে পিয়াজের দামে যে ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রয়েছে তার অবসান হবে। ফলে আগামী এক মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের পিয়াজের বাজারে অস্থিরতা থাকবে। এ সংকট কোরবানির ঈদ পর্যন্ত অব্যাহত থাকার আশঙ্কাও কম নয়। কারণ এ সময় পিয়াজের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও পিয়াজের বাজারে যে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এমনিতেই টানা বৃষ্টিপাতে অন্য সব সবজির দাম বেড়েছে গড়ে দেড়শ' গুণ। এ মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের হা হুতাশ বেড়েছে। পিয়াজের পাশাপাশি আদা রসুন ইত্যাদি মসল্লা পণ্যের বাজারেও বিরাজ করছে অস্থিরতা। বাজার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না নিলে তা জনদুর্ভোগ যে আরও বাড়াবে তা সহজেই অনুমেয়।

 

 

সর্বশেষ খবর