সোমবার, ২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তাকওয়া মানুষের সব কাজ সৌন্দর্যমণ্ডিত করে

মাওলানা আবদুর রশিদ

আল্লাহভীতি বা তাকওয়া মানুষকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করে। আল্লাহভীতি অসৎ এবং অসুন্দর পথ থেকে বান্দাকে বিরত রাখে। আল্লাহর কালাম কোরআন পাঠ মানুষকে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণের পথ দেখায়। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের প্রতি মানুষের মনে পক্ষপাতিত্ব সৃষ্টি করে। কোরআন পাঠের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহকে বেশি বেশি করে স্মরণ করতে পারে। হজরত আবুযর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন রসুলে করিমের খেদমতে হাজির হলাম। আমি বললাম হে আল্লাহর রসুল, আমাকে নসিহত করুন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমি তোমাকে নসিহত করছি, তুমি আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর। কেননা এটা তোমার সব কাজ সুন্দুর, সুষ্ঠু ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করে দেবে। আবুযর বলেন, আমি আরও নসিহত করতে বললাম। তখন তিনি বললেন, তুমি কোরআন মজিদ তিলাওয়াত করিও এবং আল্লাহকে সব সময়ই স্মরণে রাখবে। কেননা এই তিলাওয়াত ও আল্লাহর স্মরণের ফলেই আকাশ রাজ্যে তোমাদের উলে­খ করা হবে এবং এই জমিনেও তা তোমার ‘নূর’স্বরূপ হবে।

আবুযর আবার বলেন, হে রসুল! আমাকে আরও নসিহত করুন। তিনি বললেন, বেশির ভাগ সময় চুপচাপ থাকা ও যথাসম্ভব কম কথা বলার অভ্যাস কর। কেননা, এই অভ্যাস শয়তান বিতাড়নের কারণ হবে এবং দীনের ব্যাপারে এটা তোমার সাহায্যকারী হবে। আবুযর বলেন, আমি বললাম আমাকে আরও কিছু নসিহত করুন। বললেন, বেশি হাসিও না, কেননা এটা অন্তরকে হত্যা করে এবং মুখমণ্ডলের জ্যোতি এটার কারণে বিলীন হয়ে যায়। আমি বললাম হজরত, আমাকে আরও উপদেশ দিন। তিনি বললেন, সব সময়ই সত্য কথা ও হক কথা বলিওÑ লোকদের পক্ষে তা যতই দুঃসহ ও তিক্ত হোক না কেন। বললাম, আমাকে আরও নসিহত করুন। তিনি বললেন, আল্লাহর ব্যাপারে কোনো উৎপীড়কের উৎপীড়নকে আদৌ ভয় করিও না। আমি বললাম, আমাকে আরও নসিহত করুন।  তিনি বললেন, তোমার নিজের সম্পর্কে তুমি যা জান, তা যেন তোমাকে অপর লোকদের দোষত্র“টি সন্ধানের কাজ হতে বিরত রাখে। বায়হাকী, শুআবিল ইমান

আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাকওয়া অবলম্বন করার তৌফিক দান করুন।

                লেখক : ইসলামী গবেষক।

সর্বশেষ খবর