বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

পে-স্কেল জটিলতা

বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ নিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পে-স্কেল নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসার জন্য অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বেতন বৈষম্য দূর করা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে অভিহিত করে বলেন, বেতন বৈষম্য সম্পর্কে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের বিকল্প হিসেবে স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতির কথা ভাবা হচ্ছে। যার ফলে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ১০ বছর এক পদে চাকরি করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরের বছর পদোন্নতি পেয়ে উচ্চ গ্রেডে উন্নীত হবেন। এ ছাড়া গ্রেড-১ এ যাতে সব ক্যাডারের কর্মকর্তারা পেতে পারেন সে বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে। নতুন বেতন কাঠামো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনমান বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে দিলেও এর ফলে সৃষ্ট কিছু বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষোভ নিরসনে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসার যে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা সমস্যার গ্রন্থিমোচনে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে কোনো কোনো মহলে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হওয়ায় ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো বেতন আদেশের ফাইল অর্থমন্ত্রী আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ইতিপূর্বে ফেরত নেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ফলে অসন্তুষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বৈষম্যের যে অভিযোগ রয়েছে তা সুরাহার পথ খুঁজে পাওয়া যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। বিশেষত সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্যের অভিযোগে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পথ দেখাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বৈষম্য নিরসনে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন এবং বলেছেন পৃথক বেতন কাঠামো এবং অষ্টম বেতন স্কেলের গ্রেড সমস্যা নিরসনে ব্যর্থ হলে তারা লাগাতার কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবেন। বেতন কাঠামো যে কোনো স্তরের সরকারি কর্মজীবীদের জন্য একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের বিশ্বাস এ বিষয়টি মনে রেখে এ সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর সুরাহা টানা হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর