সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নিরাপত্তা সতর্কতা

জঙ্গিবাদের উদ্দেশ্য যেন পূরণ না হয়

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সিরিজ সন্ত্রাসী হামলা সারা দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা মোকাবিলায় দুনিয়ার প্রায় প্রতিটি দেশে অলিখিতভাবে সতর্কাবস্থা চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশেও একই কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকায় ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যা, ঢাকায় তাজিয়া মিছিল প্রস্তুতিস্থলে বোমা হামলায় একজনের মৃত্যু এবং রাজধানীর দুটি পুলিশ চেকপোস্টে দুই পুলিশ সদস্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর একটি গোয়েন্দা সংস্থা বড় ধরনের নাশকতার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেয়। তারপর থেকে সারা দেশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ফ্রান্সে হামলার পর বাংলাদেশে নিরাপত্তাজনিত সতর্কতা আরও জোরদারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নাশকতা ও হামলার আশঙ্কায় ইতিমধ্যে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রহ.), চট্টগ্রাম শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানী বিমানবন্দরসহ দেশের সবকটি বিমানবন্দরে হলুদ সতর্কতা বা ইয়েলো অ্যালার্ট জারি রয়েছে। এ ছাড়া রেলওয়ে স্টেশন, সব বাস টার্মিনাল, চট্টগ্রাম বন্দর, আদালত ভবন, গুরুত্বপূর্ণ তেল ও গ্যাস স্থাপনা, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, বেতার ভবনসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ৬৮টি কারাগার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। আমরা সরকারের সতর্কতামূলক পদক্ষেপকে অভিনন্দন জানাই। তবে সতর্কাবস্থা বজায় রাখার নামে যাতে সবকিছু অচল না হয়ে পড়ে সেদিকেও নজর দিতে হবে। যে কোনো সন্ত্রাসী হামলার মোকাবিলায় সতর্কাবস্থার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু তা যাতে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি না করে তা দেখতে হবে।  এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোকেও উদার মনোভাব দেখাতে হবে। সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের সফরে নিরুৎসাহিত করা কিংবা খেলা বন্ধ রাখা কোনো কিছুই যথার্থ কাজ হতে পারে না। এ ধরনের পদক্ষেপ প্রকারান্তরে সন্ত্রাসবাদের উদ্দেশ্য পূরণে মদদ জোগায়। যা থেকে দূরে থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর