সোমবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

সব নবী রসুলের দাওয়াত ছিল অভিন্ন

মাওলানা মুহম্মাদ জিয়াউদ্দিন

আল্লাহ মানুষকে হেদায়েত করার জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে যুগে যুগে নবী ও রসুল পাঠিয়েছেন। হজরত আদম (আ.) থেকে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার মতান্তরে ২ লাখ ২৪ হাজার নবী ও রসুলের আগমন ঘটেছে। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ নবী এবং তারপর আর কোনো নবীর আগমন ঘটেনি বা ঘটবে না। আল্লাহ প্রত্যেক নবী বা রসুলের প্রতি অহি বা প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ করে বলা হয়েছে

১. (হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ওহি পাঠিয়েছি, যেমন করে ওহি পাঠিয়েছিলাম নূহের প্রতি এবং তার পরবর্তী নবী-রসুলদের প্রতি। আর ওহি পাঠিয়েছি ইব্রাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার সন্তানদের প্রতি। আর আমি দাউদকে দান করেছি যাবুর কিতাব। এ ছাড়া এমন রসুল পাঠিয়েছি যাদের ইতিবৃত্ত পূর্বে আপনাকে শুনিয়েছি এবং এমনও অনেক রসুল পাঠিয়েছি যাদের বৃত্তান্ত আপনাকে শুনাইনি। আর আল্লাহ মূসার সঙ্গে কথোপকথন করেছেন সরাসরি। সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী রসুলদের পাঠিয়েছি, যাতে রসুলদের পরে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করার মতো কোনো অবকাশ মানুষের জন্য না থাকে। আল্লাহ পরাক্রমশালী বিজ্ঞানময়। আল্লাহ আপনার প্রতি যা নাজিল করেছেন তা তিনি জেনেশুনেই নাজিল করেছেন। আল্লাহ নিজেই এর সাক্ষী এবং ফিরেশতারাও সাক্ষী। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। (৪- সূরা) নিসা : ১৬৩-১৬৬)।

নবী রসুলদের প্রতি ইমান আনা প্রতিটি মুমিনের জন্য অবশ্য কর্তব্য। সব নবী রসুলকে আল্লাহ দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন মানুষকে হেদায়েত করার জন্য। সব নবীর দাওয়াত ছিল অভিন্ন। তাদের কাউকে অস্বীকার করা সবাইকে অস্বীকার করার শামিল। পবিত্র কোরআনের আগে হজরত দাউদ (আ.)-এর ওপর জাবুর, হজরত মূসা (আ.)-এর ওপর তাওরাত এবং হজরত ঈসা (আ.)-এর ওপর ইঞ্জিন কিতাব নাজিল হয়েছিল।  তবে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর কোরআন নাজিলের পর অন্যসব ঐশী কিতাবের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। যে কারণে ওইসব কিতাব আমল করা যাবে না।

লেখক : ইসলামী গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর