শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইতিহাস

অরখান

১৩২৬ খ্রিস্টাব্দে ওসমানের মৃত্যুর পর তদীয় পুত্র অরখান সিংহাসনে আরোহণ করেন। ক্ষমতালাভ করে অরখান পিতার নীতি অনুসরণ করেন। রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও সংহতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে তাকে শত্রুর মোকাবিলা করতে হয় : (ক) বায়জানটাইন; (খ) মোঙ্গল; (গ) ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেলজুক সামন্ত রাজ্য। তিনি সাফল্যের সঙ্গে প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন এবং অটমান সাম্রাজ্যের সীমানা ও শক্তি বৃদ্ধি করেন।

অরখান ৩৩ বছর রাজত্ব করেন এবং তার রাজত্বকালে তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে যে অঞ্চল লাভ করেন তার তিনগুণ অধিকার করে সাম্রাজ্য বিস্তার করেন। এর ফলে এশিয়া মাইনরের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলসহ মর্যাদা ও দার্দানেলিস এবং ইউরোপীয় ভূখণ্ডে অটমান আধিপত্য স্থাপিত হয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, তার আমলে তুর্কিদের প্রাধান্য সর্বপ্রথম ইউরোপীয় মহাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ব্রুসাকে নতুন রাজধানী হিসেবে নির্মাণের জন্য বহু গ্রিক স্থপতি নিয়োগ করেন। তিনি সর্বপ্রথম ‘সুলতান’ উপাধি ধারন করেন এবং স্বীয় রাজ্যকে সাম্রাজ্য হিসেবে মুদ্রায় অঙ্কিত করেন। অরখানের মতো যোগ্য যোদ্ধার নেতৃত্বে সর্বপ্রথম এশিয়া মাইনরের গ্রিক শহর নাইসিয়া ও নাইকোমেডিয়া দখল করেন। ১৩২৭ খ্রিস্টাব্দে দীর্ঘদিন অবরোধের পর অরখান গ্রিক সম্রাট তৃতীয় এন্ড্রোনিকাসকে পরাজিত করে নাইসিয়া অধিকার করেন। অতঃপর ক্ষুদ্র সেলজুক রাজ্য কারাসাই ১৩৩৩ খ্রিস্টাব্দে অধিকৃত হলে সেলজুক তুর্কিদের প্রতিপত্তি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এর পর নাইকোমেডিয়া শহরের পতন হয় ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দে। এর ফলে এশিয়া মাইনরে গ্রিক প্রাধান্য বিলুপ্ত হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর