শিরোনাম
রবিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আল্লাহর জিকিরের মরতবা

মাওলানা মুহম্মাদ সাহেব আলী

নামাজ রোজাসহ ফরজ ইবাদতের পর আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার সর্বোত্তম উপায় হলো জিকির করা। জীবকুলের মধ্যে মানুষ যেসব কারণে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার তার একটি হলো মানুষ নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে। এটি আল্লাহর একটি বিশেষ নেয়ামত। অভিব্যক্তি প্রকাশের মাধ্যম হলো মানুষের জিহ্বা। এ নেয়ামতটি মানুষ ভালো ও মন্দ দুই ক্ষেত্রেই ব্যবহার করতে পারে। যে নিজের জিহ্বা বা জবানকে ভালো উদ্দেশ্যে, বিশেষত মহান স্রষ্টা আল্লাহর জিকিরের জন্য ব্যবহার করে সে সত্যিকার অর্থেই সৌভাগ্যের অধিকারী। কারণ এ জিকির তাকে আখিরাতের জীবনে জান্নাত লাভে সহায়তা করবে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনৈক সাহাবিকে নসিয়ত করেছিলেন ‘তোমার জিহ্বা যেন সর্বদা আল্লাহর জিকিরে সিক্ত থাকে।’ তিরমিজি

জিকিরের ফজিলত সম্পর্কে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিপুল সংখ্যক হাদিস রয়েছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দিব না যা তোমাদের আমলের মধ্যে সর্বোত্তম, তোমাদের মালিক আল্লাহর নিকট অতি পবিত্র, সর্বাধিক মর্যাদাসম্পন্ন, স্বর্ণ-রৌপ্য ব্যয় করার চেয়েও উত্তম এবং শত্রুর মোকাবিলায় যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে তাদের ঘাড়ে প্রহার করবে আর তারা তোমাদের ঘাড়ে প্রহার করবে- অর্থাৎ জিহাদের চেয়েও উত্তম? তারা বললেন, হ্যাঁ বলুন! তিনি বললেন, ‘তা হলো আল্লাহতায়ালার জিকির।’ (তিরমিজি) রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করে আর যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করে না তাদের উদাহরণ জীবিত ও মৃত ব্যক্তির মতো।’ (বুখারি) হাদিসে কুদসিতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেরূপ ধারণা করবে সেভাবেই সে আমাকে পাবে। সে আমাকে স্মরণ করলে আমি তার সঙ্গে থাকি। সে যদি নিজের মনের মধ্যে আমাকে স্মরণ করে আমিও তাকে আমার মনের মধ্যে স্মরণ করি। সে যদি কোনো সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে আমিও তাকে তাদের চেয়ে উত্তম সমাবেশে স্মরণ করি। সে যদি আমার দিকে অর্ধহাত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে একহাত অগ্রসর হই।’  (বুখারি)

জিকিরের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার সুযোগ পায়। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রতিটি মুমিনের উচিত বেশি বেশি করে জিকির করা।

                লেখক : ইসলামী গবেষক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর