শিরোনাম
শনিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিচার হয় বাংলাদেশে, মাতম ওঠে পাকিস্তানে!

প্রভাষ আমিন

বিচার হয় বাংলাদেশে, মাতম ওঠে পাকিস্তানে!

গ্রামে একটা কথা আছে, মাটিত বাড়ি দিলে গুনাহগার কান্দে। বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের মাতম দেখে আমার সে কথাই মনে পড়ছে বারবার। বিচার হচ্ছে বাংলাদেশে, কান্নাকাটির রোল পড়ছে পাকিস্তানে। তাদের এই মাতমেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের যৌক্তিকতা প্রমাণিত হচ্ছে। পাকিস্তান বলছে, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদেরই বিচার করা হচ্ছে। অবশ্যই, একাত্তরে যারা পাকিস্তানের পক্ষে ছিল, মানে বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল, তাদেরই বিচার হচ্ছে। তবে সব পাকিস্তানপন্থির বিচার হচ্ছে না আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। যারা একাত্তর সালে পাক হানাদারদের সহায়ক শক্তি হিসেবে খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজের মতো সুনির্দিষ্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল; শুধু তাদেরই বিচার হচ্ছে। যারা একাত্তর সালে আদর্শিক কারণে অখণ্ড পাকিস্তান চেয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, তাদের আমরা ঘৃণা করতে পারি, বিচার করতে পারি না। তাই সুনির্দিষ্ট অপরাধে অভিযুক্ত মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার কারও নেই। চাইলে আপনি বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন, এ বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে; এমন অভিযোগও করতে পারেন। জাতিকে বিভক্ত করার জন্য এ বিচার, এমন কথা বলাও আসলে মানবতাবিরোধী অপরাধকে আড়াল করার কৌশল। ১৯৭৩ সালে প্রণীত আইনের আওতায় গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের যে বিচার হচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে কোথাও মানবতাবিরোধী কোনো অপরাধের বিচারের প্রশ্ন এলে তার মানদণ্ড হবে বাংলাদেশ। কারণ এই আইনেই অভিযুক্তদের মানবাধিকার সবচেয়ে ভালোভাবে রক্ষিত হয়েছে, তাদের আইনের সর্বোচ্চ সুরক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে উম্মুক্ত আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হচ্ছে। তারা ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারছেন, আপিলের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে পারছেন। এমনকি রাষ্ট্রপতির অনুকম্পাও চাইতে পারছেন। বিশ্বের অনেক দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের আপিল করারই সুযোগ নেই।

তবে আজ মানবতাবিরোধী অপরাধ নিয়ে পাকিস্তানের অতি উৎসাহী প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে চাই। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, তারা আক্রমণকেই প্রতিরক্ষার শ্রেষ্ঠ উপায় বলে বিবেচনা করছে। নিজেদের চামড়া বাঁচাতেই তারা আগেভাগে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। আর যতবার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের প্রসঙ্গটি সামনে আসছে, ততবারই গণহত্যাকারী হিসেবে বিশ্বের কাছে পাকিস্তানের চেহারা উম্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে। ভয় পেলে মানুষ অকারণে চিৎকার করে। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে, তারাও নিজেদের ভয় তাড়াতে চাচ্ছে। এখন পাকিস্তান বলছে, ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল নয়াদিলি­তে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর‌্যায়ের বৈঠক এবং চুক্তির দোহাই দিয়ে অতীত ভুলে সামনের দিকে তাকানোর কথা বলছে। কিন্তু এ দাবি বড়ই অসার। একাত্তরে বিজয় অর্জনের পরপরই বাংলাদেশ পাকিস্তানি ও স্থানীয় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু বারবার তাদের বিচারের কথা বলেছেন। এদের বিচারের জন্যই ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই ঘোষণা করা হয় ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩’। এই আইনে স্থানীয় ও পাকিস্তানি উভয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের সুযোগ ছিল। ভারতে আটক পাকিস্তানি সৈন্যদের মধ্যে প্রথমে ১৫০ ও পরে আরও ৪৫ জন মোট ১৯৫ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনে বাংলাদেশ। ১৯৭২ সালে ভারত তার হাতে বন্দী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ১৯৫ পাকিস্তানি সৈন্যকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরে সম্মত হয়। কিন্তু এই ১৯৫ জনকে বাঁচাতে নানা কূটকৌশল শুরু করে জুলফিকার আলী ভুট্টো। বাংলাদেশ যখন বিজয় অর্জন করে, তখন প্রায় ৪ লাখ বাঙালি পাকিস্তানে আটকা পড়ে ছিল। ভুট্টো তার দেশের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আটকেপড়া বাঙালিদের জিম্মি করে। এমন হুমকিও দেয় যে, বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানিদের বিচার করে, তাহলে পাকিস্তানও আটকেপড়া বাঙালিদের বিচার করবে। শুধু হুমকি দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি ভুট্টো, ১৯৫ জনের পাল্টা হিসেবে ভুট্টো আটকেপড়া বাঙালিদের মধ্য থেকে ২০৩ জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে ‘তথ্য পাচার’-এর অভিযোগ আনা হয়। তবে ভুট্টো প্রয়োজনে পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দীদের পাকিস্তানের মাটিতে বিচার করার কথা বলে ছিলেন। যদিও ঘটনা যেখানে ঘটেছে বিচার সেখানেই হওয়ার কথা। কিন্তু কূটতর্কে ভুট্টো বলেছিল, ঘটনার সময় পূর্ব পাকিস্তানও পাকিস্তানেরই অংশ ছিল। তাই প্রয়োজনে বিচার পাকিস্তানের মাটিতেও হতে পারে। এসবই আসলে ছিল বাহানা। ১৯৫ যুদ্ধবন্দীর বিচার ঠেকাতে ভুট্টো বাংলাদেশের ওপর নানামুখী আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখে। পাকিস্তানের পরামর্শে জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রশ্নে ভেটো দেয় চীন। মুসলিম বিশ্বও তখন সমস্যা সমাধানে চাপ দেয়। তাছাড়া পাকিস্তানে আটকেপড়া বাঙালিদের স্বজনরাও তাদের স্বজনদের ফিরিয়ে আনতে চাপ প্রয়োগ করে। সবচেয়ে বড় চাপটা আসে ভারত থেকে। কারণ ৯৩ হাজার যুদ্ধবন্দীকে দিনের পর দিন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে ভারত। এখানে পাকিস্তান কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল। কারণ ভারতে আটক পাকিস্তানিরা ছিল যুদ্ধবন্দী। তাই জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী তাদের খাদ্য-বাসস্থান-নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল ভারতের। কিন্তু পাকিস্তানে আটকেপড়া প্রায় চার লাখ বাঙালি সেখানে অমানবিক জীবন-যাপন করছিল। যুদ্ধবন্দী না হওয়ায় তাদের ব্যাপারে পাকিস্তানের কোনো মাথাব্যথা ছিল না। বরং মাঝে মধ্যে তাদের জিম্মি করে, বন্দী করে, হেনস্তা করে বাংলাদেশের কাছ থেকে নানা দাবি আদায় করতে চাইত পাকিস্তান। এ অবস্থায় ভারত দ্রুত বন্দী বিনিময় চাচ্ছিল। তাই জাতীয়-আন্তর্জাতিক নানা চাপের মুখে শিশু রাষ্ট্র বাংলাদেশকে তখন এই ১৯৫ যুদ্ধবন্দীর বাংলাদেশের মাটিতে বিচারের দাবি থেকে সাময়িকভাবে সরে আসতে হয়। ১৯৭৪ সালের ৯ এপ্রিল নয়াদিলি­তে সে চুক্তিতে সই করেছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শরন সিং এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজিজ আহমেদ। তবে সে চুক্তিতেই বলা হয়েছে ‘পাকিস্তানের ওইসব বন্দী যে মাত্রাতিরিক্ত ও বহুমাত্রিক অপরাধ করেছে, তা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবনা এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত। এই ১৯৫ জন পাকিস্তানি বন্দী যে ধরনের অপরাধ করেছে সে ধরনের অপরাধের অপরাধীদের দায়ী করে আইনের মুখোমুখি করার ব্যাপারে সার্বজনীন ঐকমত্য রয়েছে।’ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনগণের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা প্রার্থনা এবং অতীতের ত্র“টি ভুলে যাওয়ার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ‘ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিকোণ’ থেকে এই ১৯৫ জনকে প্রত্যাবাসনে সম্মত হয়। তবে বাংলাদেশ ঢাকায় বিচারের দাবি থেকে সরে আসলেও এই ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবি থেকে কখনোই সরে আসেনি। এমনকি ১৯৭৪ সালের ২৮ জুন ভুট্টোর বাংলাদেশ সফরের সময়ও বঙ্গবন্ধু তার হাতে যুদ্ধাপরাধের বেশ কিছু প্রমাণ তুলে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া একাত্তরের ঘটনা তদন্তে পাকিস্তান হামুদুর রহমানের নেতৃত্বে যে কমিশন গঠন করেছিল, তাতেও গণহত্যার প্রমাণ সরবরাহ করেছিল বাংলাদেশ। হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্টেও পাকিস্তানি সৈন্য ও তাদের এদেশীয় দোসরদের যুদ্ধাপরাধের বিস্তারিত বিবরণ উলে­খ করা হয় এবং কয়েকজন সামরিক কর্তার শাস্তির সুপারিশ করে। কমিশন পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংসতা, অবাধ নিষ্ঠুরতা ও অনৈতিকতা তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন আদালত বা কমিশন গঠনেরও সুপারিশ করেছিল। কিন্তু পাকিস্তান কিছুই করেনি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণহত্যার একটি হয়েছিল বাংলাদেশে, সেটি বরাবরই পাকিস্তান আড়াল করে রেখেছে, অস্বীকার করেছে। ১৯৭৪ সালে নয়াদিলি­ চুক্তিতে পাকিস্তান কোনো রকমে নিজেদের বন্দীদের ছাড়িয়ে নিতে ক্ষমা চাইলেও পরে বারবার প্রমাণ করেছে একাত্তরের জন্য তারা অনুতপ্ত নয়। আর এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তারা বুঝিয়ে দিচ্ছে, নিজেদের অবস্থান থেকে তারা একটুও সরে আসেনি।

মানবতাবিরোধী অপরাধ কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হয় না; হয় গোটা মানবতার বিরুদ্ধে। তাই কোনো ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ক্ষমা করারও কোনো সুযোগ নেই। আর যে নয়াদিলি­ চুক্তির দোহাই দিয়ে পাকিস্তান বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করছে, সামনে তাকানোর নসিহত করছে, তাতেও স্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। সে চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের আটক ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। পাকিস্তানের উচিত ছিল নিজেদের স্বার্থেই এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা। অতীত অপরাধকে কার্পেটের নিচে আড়াল করে না রেখে তার বিচার করলেই একটা জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। পাকিস্তান সেটা করতে পারেনি বলেই, আজ বিশ্বে পাকিস্তান একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের উদাহরণ। আর অনেকের মনে ঈর্ষা জাগিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর যে নয়াদিলি­ চুক্তির এত দোহাই, তা অনুমোদন করেনি কোনো রাষ্ট্রই। ফলে তা মানতে বাংলাদেশ বাধ্য নয়। এখন সময় এসেছে ১৯৫ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর বিচারের দাবিটি সামনে আনার। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একাধিক রায়েও পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। আসলে মানবতাবিরোধী অপরাধ কখনোই তামাদি হয় না। ’৭৪ সালে শিশু রাষ্ট্র বাংলাদেশ যা পারেনি, আজকের বাংলাদেশ সেই বিচার করার মতো সক্ষমতা অর্জন করেছে। ৪৪ বছর পর যখন বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের দোসরদের বিচার হচ্ছে, তখন বিচার হতে হবে মূল অপরাধীদেরও। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে বন্ধুরাষ্ট্র ভারত আর মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। নিশ্চয়ই ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচারও করতে পারবে। একই সঙ্গে তুলতে হবে, পাকিস্তানের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য পাওনা আদায় এবং বাংলাদেশে আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিও। এ দাবি এখনই তুলতে হবে। কারণ তাদের ঔদ্ধত্য সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বারবার তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। তাদের এই নাক কেটে দিতে হবে। তাদের বাধ্য করতে হবে, নাকে খত দিতে। পাকিস্তানের কত বড় সাহস, তারা বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠায়! নিয়াজীর ভাতিজা ইমরান খানের মতো প্লেবয় ক্রিকেটারও যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রমাণ চায়! কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেই এসব দাবি আদায় করা সম্ভব। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন আÍসম্মান নিয়ে সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন আর কাউকে পরোয়া করি না, পাকিস্তানের হুমকি পরোয়া করার তো কোনো টাইমই নেই।

লেখক : সাংবাদিক।

[email protected]

সর্বশেষ খবর