মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আঙ্গুল এখন আমাদের দিকে

সামিয়া রহমান

আঙ্গুল এখন আমাদের দিকে

একটা গল্প বলি। সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের হাতে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশের সাংবাদিক, ভারতীয় সাংবাদিক এবং একজন মার্কিন সেনা। জঙ্গি কমান্ডার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ শুনিয়ে তাদের শেষ ইচ্ছা পূরণের সুযোগ দিল। বাংলাদেশের সাংবাদিক অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে তার শেষ ইচ্ছা পূরণে জাতীয় সংগীত গাইতে চাইল। ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গেয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিক বলল, ‘এখন আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত।’

জঙ্গি কমান্ডার এলো ভারতীয় সাংবাদিকের কাছে। ভারতীয় সাংবাদিক বলল, ‘আমি শেষ পর্যন্ত সাংবাদিক। আমি চাই আমার এই পুরো ঘটনা রেকর্ড করা হোক এবং সেটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হোক। হয়তো কেউ সেটা শুনবে এবং বুঝবে আমি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি।’ জঙ্গি কমান্ডার ভিডিও ধারণ করতে দিল এবং তারপর ভারতীয় সাংবাদিক বলল, ‘এবার আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত।’

এবার পালা মার্কিন সেনার। জঙ্গি কমান্ডার তাকে বলল, ‘বল তোমার শেষ ইচ্ছা কী?’

‘আমার পেছনে লাথি মারো’, বলল সৈন্য।

‘কী?’ জঙ্গি কমান্ডার ক্ষুব্ধ হয়ে চিৎকার করে উঠল, ‘আমার সঙ্গে মৃত্যুর আগে ফাজলামি কর?’

‘না, আমি ঠাট্টা করছি না, আমি সত্যি চাই তুমি আমার পেছনে লাথি মারো’, মার্কিন সেনা জোর করতে লাগল। জঙ্গি কমান্ডার তখন মার্কিন সেনার পেছন থেকে লাথি মারল। লাথি খেয়ে মার্কিন সেনা মাটিতে বসে পড়েই তার প্যান্টের হাঁটুর ভাঁজ থেকে ৯ এমএম পিস্তল বের করে জঙ্গি কমান্ডারকে শুট করে মেরে ফেলল এবং ঝাঁপিয়ে পড়ে মাটিতে থাকা তার ব্যাগপ্যাক থেকে কারবাইন বের করে বাকি জঙ্গিদের দিকে তাক করে সব কজন জঙ্গিকে মেরে ফেলল।

এরপর যখন মার্কিন সেনা বাংলাদেশ ও ভারতীয় সাংবাদিকদের মুক্ত করতে এলো, তখন সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করল, ‘তুমি প্রথমে কেন জঙ্গিদের মারলে না? কেন বললে তোমাকে পেছন থেকে লাথি মারতে? এই নাটকটা কেন করলে?’

মার্কিন সেনার উত্তর ছিল, ‘সেটা না করলে তোমরা সাংবাদিকরা তো প্রচার করতে শুরুটা আমি করেছিলাম। আর নাটক না করলে তো গণমাধ্যম আমাকে জায়গা দেবে না।’

খুব প্রচলিত গল্প হলেও নিজের লেখাতে ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে পাত্রদের দেশ, কথা বদলে দিয়েছি। আমাদের গণমাধ্যমকর্মীদের, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অবশ্য এটি খুব প্রচলিত অভিযোগ আমরা সবকিছু বদলে দিই। আমরা নাটকীয়তা তৈরি করি, ঘটনা তৈরি করি। সেনসেশন, উত্তেজনা তৈরি করি। আমরা সব সময় সবার দিকে আঙ্গুল তুলি। অভিযোগ করি। এখন অভিযোগের তীর স্বয়ং আমাদের দিকে, গণমাধ্যমের দিকে। গোটা বিশ্বের গণমাধ্যমের এজেন্ডা নির্ধারণ এবং এজেন্ডার পক্ষে সম্মতি অর্জনের জন্য প্রচার নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। বলা হচ্ছে গণমাধ্যম পক্ষপাতিত্ব করে, গণমাধ্যম নিরপেক্ষ নয়। নানা অভিযোগে আমরা জর্জরিত। এখন সঙ্গে নতুন অভিযোগ যুক্ত হয়েছে। বলা হচ্ছে আমরা বিভ্রান্তি তৈরি করছি বা উসকে দিচ্ছি।

সমাজের বিভিন্ন স্তরে গণমাধ্যম তার ক্ষমতার বিকাশ ঘটিয়েছে। শুধু তথ্য, বিনোদন ও শিক্ষা দিয়েই নয় বরং এ তিনটি কাজের মাধ্যমে বলীয়ান হয়ে গণমাধ্যম এখন মানুষের মতামতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। গণমাধ্যমের ঘেরাটোপে আবদ্ধ যে গণতান্ত্রিক সমাজে বর্তমানে আমরা বাস করি সেখানে জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য গণমাধ্যমগুলো আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করবে খুব স্বাভাবিক। কিন্তু গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে যে, ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ এবং তা প্রচার ও প্রসারের জন্য তারা এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছে। এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, সমাজে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা যত বেড়েছে, গণমাধ্যম তত মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে এবং তার একচ্ছত্র আধিপত্য তত বেড়েছে। কতটুকু সফল হচ্ছে তা আলোচনাসাপেক্ষ। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, সত্যি কি আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা এখন মানুষের চিন্তার দিক পরিসর ঠিক করে দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়ার নামে ব্রহ্মাণ্ডের মহাপ্রলয় ঘটাতে যাচ্ছি?

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে এবং পরে দেশের কিছু গণমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশনা ও ভাষা প্রয়োগ নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, আঙ্গুল উঠেছে আমাদের দিকে। আলোচনা চলছে প্রতিযোগিতার নামে ভুল তথ্য দিয়ে কার আগে কে সংবাদ পরিবেশন করতে পারে তা নিয়েও। বলা হচ্ছে, আমরা অন্যায্য বা অন্যায় সহানুভূতি তৈরি করছি। নিরপেক্ষতার নামে অপরাধীকে হিরো বানিয়ে দিচ্ছি। গণমাধ্যম যে তথ্য দেয়, যে ভাষা ব্যবহার করে সমাজে তার ব্যাপক প্রভাব পড়ে। গণমাধ্যমের পাঠক, দর্শক, শ্রোতা শিশু থেকে শুরু করে সমাজের সবাই। তাহলে আমরা গণমাধ্যম তথ্য দিয়ে, শিক্ষা দিয়ে, বিনোদনের নামে নিজেদের অজান্তে অথবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কি সমাজকে চালিত করছি?

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন তরুণ সমাজ একত্রিত হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি-২০১৩ সালে শাহবাগে গঠন করেছিল গণজাগরণ মঞ্চ। এ আন্দোলন পরবর্তীতে শুধু আর ব্লগার এবং অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের আন্দোলনে থেমে থাকেনি, এ আন্দোলনে সাড়া দিয়েছিল সমাজের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষ। গণজাগরণ মঞ্চের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে রাজনীতির মাঠে উত্থান ঘটেছিল আর একটি শক্তির, হেফাজতে ইসলাম। ২০১০ সালে নারীনীতির বিরোধিতা করে হেফাজতে ইসলামের আবির্ভাব ঘটলেও ২০১৩ সালে তাদের উত্থান ছিল গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধশক্তি হিসেবে। শাহবাগের তরুণদের দাবি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি। কিন্তু শাহবাগ আন্দোলনের বিপক্ষে বিরুদ্ধশক্তি একে নাস্তিকের আন্দোলন আখ্যায়িত করে। ১৩ দফা নিয়ে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। যে ১৩ দফায় শাহবাগের আন্দোলনকারীদের নাস্তিকতার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। তাদের শাস্তি দাবি করা হয়। নারীর অধিকারের বিরুদ্ধে, নারী-পুরুষের মেলামেশা বন্ধের জন্য দাবি জানানো হয়। আমার দেশ পত্রিকাটি দিনের পর দিন খবর প্রকাশ করতে থাকে যে, শাহবাগের আন্দোলন ভারতীয় সংস্কৃতিরই প্রতিচ্ছবি। ৫ মার্চ-২০১৩, আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, ‘বানরকে লাই দিলে শুধু ঘাড়ে চেপে বসে না; লাইদাতার ঘাড়ে বসে চুলের মুঠি ধরে দুই গালে মনের সুখে চড় মারতে থাকে। শাহবাগিদের কাজকারবার দেখে এবং কথাবার্তা শুনে মনে হয় তারাও এখন লাই পাওয়া বানরের মতো জাতির ঘাড়ে চেপে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে থাপ্পড় মারতে শুরু করেছে।’ সাঈদীর ছবি চাঁদে দেখা নিয়ে আমার দেশ প্রকাশ করেছিল নানারকম তথ্য।

সেটি ছিল একশ্রেণির মিডিয়ার উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা। আবার গণজাগরণ মঞ্চের উত্থানে ঘটনার সঙ্গে একাত্ম হয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে বাকি গণমাধ্যমগুলোকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ করা হয় সাংবাদিক বা গণমাধ্যমকর্মীরা কোনো মতামত দিতে পারবে না। কিন্তু অভিযোগ যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইতে গিয়ে আন্দোলনের সঙ্গে গণমাধ্যমগুলো একাত্ম হয়ে গেছে।

এখানেই আমার জিজ্ঞাসা গোটা জাতির কাছে, আমার টকশোর অতিথিদের কাছে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। গণমাধ্যম নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে, অতি সত্য। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, রাজাকার, আলবদর, যুদ্ধাপরাধ এবং এর বিচার বিষয়ে গণমাধ্যম কী ধরনের নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করবে, কতটুকু নিরপেক্ষতা প্রদর্শন করবে বা কেন করবে? বাংলাদেশ আর মুক্তিযুদ্ধ যদি আমার অস্তিত্বের ভিত্তি হয় তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া কেন আমার গণমাধ্যমের পেশাগত নৈতিকতাকে চ্যালেঞ্জ করবে, কেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বললে আমাকে রাজনৈতিক দলের তকমা গায়ে চড়াতে হবে। আমরা বিভ্রান্তি তৈরি করছি? নাকি ‘কিন্তু-তবে-যদি’ বলে যারা যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আমতা আমতা করেন, গড়িমসি করেন তারাই বিভ্রান্তি তৈরি করেন, খুব জানতে ইচ্ছা করে।

অভিযোগ, আমরা কথা বলতে দিই না। অভিযোগ, আমরা বাকস্বাধীনতা হরণ করছি অতিথিদের। অভিযোগ, নিজেদের পছন্দমতো অতিথিদের সময় বণ্টন করি। অভিযোগ, আমরা গণমাধ্যমকর্মীরা জোর করে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য আদায়ের উদ্দেশ্যে তাদের দিয়ে অতিকথন করিয়ে নিই।

সবিনয়ে বলতে চাই, গণমাধ্যমে সময় বণ্টন আমাদের মতো ক্ষুদ্র গণমাধ্যমকর্মীদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। নির্ভর করে বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর, অতি জটিল প্যাঁচালো বিভ্রান্তিকর টিআরপির ওপর। রাজনৈতিক বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অতিকথনের জন্য অবশ্যই দায়ী আমরা নই। মিডিয়া কথা বলবেই, মিডিয়া তথ্য তুলে ধরবেই। সচেতনতার দায়িত্ব তাদের ওপর যারা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্রদের ক্যামেরার সামনে হাজির করা হলে মিডিয়া তথ্য আদায়ের তাড়নায় তাদের বক্তব্য তুলে ধরতেই পারে কিন্তু দায়িত্বটা বর্তায় তাদের ওপর যারা মিডিয়ার সামনে এনে তাদের হাজির করেন। প্রশ্নটা জাগে কেন করেন? কেন কারাগারের মতো এত স্পর্শকাতর স্থানে এত গণমাধ্যমকে, এত মানুষকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়? জঙ্গিরা যদি এর সুযোগ নিত? এত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মুখপাত্র কেন গণমাধ্যমকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেনি?

দলমতনির্বিশেষে সবাই আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ। প্রায়ই এমন অভিযোগ আসে আমরা এমন ব্যক্তিদের কেন আমন্ত্রণ জানাই, যারা বিতর্কের নামে এজেন্ডা তৈরি করেন। কিন্তু সেই বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করাও তো মিডিয়ার দায়িত্ব। রাষ্ট্র, সমাজ, গণতন্ত্রের প্রয়োজনেই বিরোধী শক্তির প্রয়োজন। মিডিয়ার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অবশ্যই আমাদের গণমাধ্যমেরও সচেতন হতে হবে যে, সেই বিরোধী শক্তি যেন বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিপক্ষশক্তি না হয় এবং সেই বিপক্ষশক্তির পক্ষে প্রচারের মুখপাত্র যেন আমরা না হই। বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষশক্তি জোরালোভাবে এখনো বর্তমান। তাদের কি গণমাধ্যম থেকে আড়াল করে রাখব? নাকি জনগণের সামনে তাদের অবস্থান ও চরিত্র তুলে ধরব?

এসব ষড়যন্ত্র, বাদানুবাদে কে লাভবান আর কে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে? ষড়যন্ত্রতত্ত্বের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এটি বিরুদ্ধবাদীদের বিপক্ষে বিশ্বাসহীনতা তৈরি করে। আমরা তাদের যত আড়াল করব তত তারা পেছন থেকে আরও শক্তিশালী হবে। যতই গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা হোক না কেন মিডিয়ায় অগ্রাধিকার প্রদান ও পক্ষপাতিত্বের সমালোচনা করতে গিয়ে আমরা জনগণই আবার খোদ গণমাধ্যমের ওপরই তথ্যের জন্য নির্ভর করি। মিডিয়ার ওপর আমাদের অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা হয়তো বিভ্রান্তির সুযোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু গণমাধ্যম তো শুধু জনগণের কাছে বার্তা ও প্রতীক সম্প্রসারণ করে না, বৃহত্তর সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে খাপ খাওয়ার উপযোগী করে জনগণকে মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও আচরণবিধিতে দীক্ষিত করে তোলে। অস্বীকার করব না, যখন গণমাধ্যমের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে সংকীর্র্ণতার সৃষ্টি হয় তখনই দেখা দেয় বিভ্রম, প্রচারণা ব্যবস্থার ক্রিয়াশীলতা যাচাই করা তখন দুরূহ হয়ে পড়ে। কিন্তু এও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, গণমাধ্যমগুলো এখনো যথেষ্ট তৎপর আছে বলেই সমাজে গণতন্ত্র টিকে আছে, গণমাধ্যমগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করছে বলে জবাবদিহির সংস্কৃতি প্রবলভাবে টিকে আছে। সত্য সব সময়ই নির্মম। আমরা সত্যের পক্ষে। যে সত্য বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে, যা আমাদের আত্মার গান হয়ে আছে।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর একাত্তর টেলিভিশন

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর