মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ

মেয়রের সাহসী ভূমিকাকে অভিনন্দন

তেজগাঁওয়ের অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে গিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হককে লুটেরা স্বার্থের প্রতিভূদের হাতে জিম্মি অবস্থায় পড়তে হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের অফিসে তিনি অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। অফিসের বাইরে চলছিল অবৈধ দখলদারদের তুলকালাম। তারা মেয়রের গাড়িতে ভাঙচুর চালান। পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও ছোড়েন। পুলিশের হাতে একজন ট্রাকশ্রমিক নিহত হয়েছেন- এমন গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টাও চালান তারা। তেজগাঁওয়ের অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার জন্য এর আগে একাধিকবার নোটিস দেওয়া হয়। প্রথমে ৭ নভেম্বর পরে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু ক্ষমতাধর ট্রাকশ্রমিক নেতারা সে নোটিস আমলে আনার কোনো চেষ্টা করেননি। রবিবার বেলা ১টায় নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী মেয়র আনিসুল হক রেলমন্ত্রীকে নিয়ে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করতে গেলে স্ট্যান্ডকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী চক্রের আক্রোশের শিকার হন। মেয়র, মন্ত্রী ও র‌্যাবকে লক্ষ্য করে তারা বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়র ট্রাকশ্রমিক অফিসে আশ্রয় নেন এবং রেলমন্ত্রী এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হন। স্মর্তব্য, রেলের জমিতে অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড গড়ে উঠলেও পরবর্তীতে পুরো এলাকা অবৈধ দোকানপাট ও বিকল ট্রাকের দখলে চলে যায়। স্থানীয় মস্তান ও শ্রমিকনেতা নামধারীরা অবৈধ দোকান ও স্থাপনার কাছ থেকে মাসহারা পেতেন। ট্রাকস্ট্যান্ডের বদলে ট্রাক রাখা হতো তেজগাঁও সড়কের দুই পাশজুড়ে। ফলে সাতরাস্তা থেকে তেজগাঁও রেললাইন পর্যন্ত পুরো এলাকায় যানজট লেগে থাকত। তেজগাঁওয়ের অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদের ঘটনা রাজধানীর ফুটপাথ-রাজপথ অপদখলমুক্ত করার ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। আমরা আশা করব এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং যানজটের গ্রন্থিমোচনে ফুটপাথ-রাজপথ থেকে অপদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়রের সাহসী পদক্ষেপকে আমাদের অভিনন্দন।

সর্বশেষ খবর