বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আসন্ন পৌর নির্বাচন

সহিংসতা দমনে কঠোর হোন

পৌরসভা নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের প্রবণতা। সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনাও বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। সবচেয়ে অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সম্পর্ক। বিএনপিতে অফিসিয়াল ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সাপে-নেউলে সম্পর্ক বিরাজ করছে। এর বাইরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘাত-সংঘর্ষ তো আছেই। পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। চলছে গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা। পৌরসভা নির্বাচন জনমনে আশার আলো জাগিয়েছিল। গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান অস্বস্তিকর অবস্থা কেটে যাবে এমনটিই আশা করেছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি ভঙ্গের মহোত্সব শুরু হওয়ায় জনমনে নির্বাচন প্রার্থীদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। পেশীজীবীরা নির্বাচনের মাঠে যেভাবে দাপট দেখাচ্ছে তাতে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে কিনা প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন নিজেদের সুনাম রক্ষায় তত্পর হলেও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক সমর্থনের অভাবে তাদের হতাশ হতে হচ্ছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বিব্রত অবস্থায় পড়েছে বলেই মনে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সংকট তুলনামূলকভাবেই বেশি। প্রচার প্রপাগান্ডায় এগিয়ে থাকলেও দলীয় কোন্দলের কারণে সে সুবিধা কতটা ভোগ করা যাবে তা প্রশ্নাতীত নয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক ক্ষমতাসীন দলের ক্ষমতার ভিত তাতে দুর্বল হবে না। বিরোধী দলের অর্জনও আত্মসন্তুষ্টিতে সীমাবদ্ধ থাকবে।  সেহেতু নির্বাচনে সব কিছুর বাইরে গণতান্ত্রিক চেতনার যাতে জয় হয় সে ব্যাপারে সব পক্ষেরই যত্নবান হওয়া উচিত। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকেও নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের বিরুদ্ধে কড়া হতে হবে। সংঘাত-সংঘর্ষ বন্ধে নিতে হবে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর