বুধবার, ৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বেতন বৈষম্য দূরীকরণের উদ্যোগ

বঞ্চিতদের ক্ষোভ নিরসনে সহায়ক হবে

বেতন বৈষম্য নিয়ে সৃষ্ট অসন্তোষ দূর করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ প্রকৃচি বিসিএস সমন্বয় কমিটির আন্দোলন আমলে নিয়ে পে-স্কেলসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিকে বৈঠক ডাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। কীভাবে বৈষম্য দূর করা যায় তা নিয়ে পে-স্কেলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথাও বলেছেন। গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় শিক্ষক এবং প্রকৃচি বিসিএস ক্যাডারদের আন্দোলনের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। বৈঠকে সিনিয়র মন্ত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন প্রায় দ্বিগুণ করা হলেও তার সুফল সরকার ঘরে তুলতে পারছে না কোনো কোনো ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টির অভিযোগের কারণে। বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং সরকারের ২৬ ক্যাডার ও ফাংশনাল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের মধ্যে সৃষ্ট অসন্তোষ সুরাহার পক্ষে মত দেন তারা। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমস্যার সুরাহার নির্দেশ দেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেতন বৈষম্য দূরীকরণের যে ইতিবাচক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার। এ উদ্যোগ অসন্তোষের রাশ টেনে ধরবে বলে আশা করা যায়। নতুন বেতন স্কেল সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মানজনকভাবে জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি করলেও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ অনেকের জন্যই তা আশা ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বন্ধ করায় কর্মকর্তাদের মধ্যে যে মর্যাদাগত ও আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টি হয় তা হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়ায়। এ ব্যাপারে কোনো কোনো মন্ত্রীর কট্টর বক্তব্য প্রশাসনে ক্ষোভ সৃষ্টি করে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনের উদ্যোগ নেওয়ার বদলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক এবং প্রকৃচি বিসিএস সমন্বয় কমিটিকে আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।  প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত হস্তক্ষেপ এ সম্পর্কে সৃষ্ট অসন্তুষ্টি দূরীকরণে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ বঞ্চিত সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষোভের অবসান ঘটিয়ে স্বস্তিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করবে এমনটিই কাঙ্ক্ষিত।

সর্বশেষ খবর