শিরোনাম
শনিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ

জিএসপি ফিরে পেতে অবদান রাখুক

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশের নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। রাজধানীর একটি হোটেলে সাসটেইনেবল কমপ্যাক্টের দ্বিতীয় সভায় এই সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার যৌথ উদ্যোগের এই সভায় কারখানার শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন ও যৌথ দর কষাকষির সুযোগ নিশ্চিত করতে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকারও করা হয়। রানা প্লাজা এবং এর আগের কয়েকটি দুর্ঘটনায় শত শত শ্রমিকের মৃত্যু বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প সম্পর্কে ক্রেতা দেশগুলোর মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করে। এ প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র তার দেশে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশের ক্ষেত্রে দেওয়া জিএসপি সুবিধা বাতিল করে। তথাকথিত এই সুবিধা প্রত্যাহার বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত না করলেও ভাবমূর্তির সংকট তৈরি করে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করে। সাসটেইনেবল কমপ্যাক্টের বৈঠকে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের ইতিবাচক মনোভাব সে সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়। বৈঠকে ক্রেতা দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পক্ষ থেকে ট্রেড ইউনিয়ন বা দর কষাকষির পরিবেশ সৃষ্টিতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে সব পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারও করেছে। বাংলাদেশ নীতিগতভাবে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার পক্ষে। তবে বিষয়টি একতরফা নয়। এ জন্য পোশাক ক্রেতাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। ক্রেতারা পোশাকের দাম না বাড়ালে দর কষাকষির সুযোগ সৃষ্টি প্রকারান্তরে এ শিল্পকে হুমকির মুখেই ফেলবে। আমরা আশা করব সাসটেইনেবল কমপ্যাক্টের বৈঠকে শ্রমিকদের কর্মস্থলের নিরাপত্তা সম্পর্কে যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তা বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা ফেরত দানের ক্ষেত্রে অবদান রাখবে।  পাশাপাশি দেশের তৈরি পোশাকশিল্পের ভাবমূর্তির উন্নয়নেও তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

সর্বশেষ খবর