বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

সরকারি হাসপাতাল প্রসঙ্গ

সেবার মান বাড়ানোর উদ্যোগ নিন

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই ছোট সে তরী অবস্থার কিছুতেই অবসান ঘটছে না। প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে রোগীদের ভিড় এত বেশি যে চিকিৎসা চালাতে গিয়ে চিকিৎসকদের যেমন হিমশিম খেতে হয় তেমনি রোগীদেরও অবস্থা দাঁড়ায় ছেড়ে দে মা কেদে বাঁচির মতো। প্রায় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ছুটির দিনে চিকিৎসকের দেখা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। চিকিৎসার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে প্রায় প্রতিটি হাসপাতালে। যে যন্ত্রপাতি রয়েছে তার বেশির ভাগই থাকে বিকল। আমাদের দেশে আর্থিক দিক থেকে অসচ্ছল মানুষই সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যায়। ফলে চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকলেও রোগী এবং তাদের অভিভাবকদের সহ্য করতে হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে একের পর এক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হলেও চাহিদার তুলনায় তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রতিটি হাসপাতালে ভিড় লেগেই থাকে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ রোগী ভর্তি থাকে। ফলে সদিচ্ছা থাকলেও চিকিৎসকদের পক্ষে প্রতিটি রোগীর প্রতি নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। চিকিৎসা উপকরণের অভাবেও রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। চিকিৎসা মানুষের অন্যতম মৌলিক মানবাধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানেও এ অধিকারকে স্বীকার করা হয়েছে। সন্দেহ নেই স্বাধীনতার পর প্রতিটি সরকার চিকিৎসা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে এ ব্যাপারটি যে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে তা চোখে পড়ার মতো। তারপরও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অব্যবস্থার শেষ নেই। অব্যবস্থাপনা প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য নেওয়া সরকারি পদক্ষেপগুলোর কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায় প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতি বিকল থাকলেও তা দেখার কেউ নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবও প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে প্রকট।  সরকারি হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে হলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা উপকরণের ব্যবস্থা যেমন করতে হবে তেমনি সেগুলোর সুসংরক্ষণেও নজর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর