শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা

সময় মতো প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নেওয়ার স্বপ্নকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এ স্বপ্নকল্পের বাস্তবায়নে ওই সময়ের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। বলেছেন, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেওয়াকে তার সরকার লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের ৭৬ শতাংশ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়াও সম্ভব হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৫৩৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার চারটি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় ৬ হাজার পরিবারের মধ্যে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগসহ ১০টি জেলার ৫১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৫১টি প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সারা দেশকে আনা হবে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অধীনে। যে বরিশাল কখনো রেল দেখেনি সেখানেও রেল যাবে, টাঙ্গাইলবাসীকেও রেলসেবার আওতায় আনা হবে। পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর পর্যন্ত স্থাপিত হবে রেল যোগাযোগ। বিদ্যুৎ ও রেল যোগাযোগের উন্নয়নে সরকার যে বিশেষ নজর দিচ্ছে নানামুখী উদ্যোগ তারই প্রমাণ। আজকের যুগ প্রযুক্তির যুগ। উন্নয়নের জন্য চাই প্রযুক্তিগত সুবিধা। এ জন্য চাই বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ শুধু অন্ধকার কাটাতেই সাহায্য করে না উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইন্ধন শক্তি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দেশের উন্নয়নে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়াস সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নানামুখী উদ্যোগও তাত্পর্যের দাবিদার। বিশেষত চার দশক ধরে উপেক্ষিত রেল যোগাযোগের প্রতি সরকারের সুনজরকে বাস্তবোচিত পদক্ষেপ বলে অভিহিত করা যায়।  আমরা আশা করব দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের গতি বাড়াতে সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। গ্যাসসহ অন্যান্য জ্বালানি সহজলব্ধ করারও উদ্যোগ নেওয়া হবে।  সরকারের সব উন্নয়ন প্রকল্প যাতে সময় মতো বাস্তবায়িত হয় সে বিষয়েও নজর দেওয়া দরকার। সময়ক্ষেপণ প্রকল্প ব্যয় যেমন বাড়ায় তেমনি উন্নয়নকেও বিলম্বিত করে, যা এড়ানো সরকারের কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

সর্বশেষ খবর